Monday, September 18, 2017

শ্রাবণপত্র 6


প্রিয় হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট,
কেমন আছো?
জানি ভালো আছো। কয়েকদিন যাবত এই বিরক্তিকর মানুষটা তোমায় আর বিরক্ত করছে না তাই ভালো থাকারই কথা। আমার এক ঘন্টা পড়ার মাঝে অনেকটা সময়ই কেটে যায় তোমার ভাবনায়। পড়তে অনিচ্ছা লাগলেও তোমার কথা ভেবে আবার পড়তে বসি। তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য হলেও তো একটা সরকার চাকরি চাই নাকি, আর সরকার চাকরি মানে বিসিএস পুলিশ কিংবা এডমিনের বাইরে ভাবতে পারছি না এখন।

শ্রাবণ, তোমায় আমায় ফিলিংসটা যদি একবার দেখাতে পারতাম বা বোঝাতে পারতাম তারপর মরে গেলেও শান্তি পেতাম জানো। একটা লোক বোকার মতো ভালোবাসে কাউকে, ক্ষণে ক্ষণে ভেবে যায় কাউকে, তার কথা ভাবলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়, যাকে পাওয়ার জন্য সবকিছু সঁপে দিতে রাজী হয় আর সেই মানুষটা যদি নাইবা জানলো তাকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাটা। এ যন্ত্রণা যে ভোগ না করছে সে ছাড়া কেউ বুঝবে না।

তুমি হয়তো ভাবতেছো যেহেতু তোমার সাথে যোগাযোগ নেই সেহেতু বোধহয় দুরত্ব বেড়ে গেছে কিন্তু আমার ভেতরে ভেতরে ঠিক উল্টোটা চলতেছে। কি ইচ্ছে হয় জানো? তোমাতে জোর করে তুলে এনে কেবল একবার বুঝাই, কেবল একবার তুমি বুঝো আমার পৃথিবী আজ কিরকম ওলট পালট হয়ে গেছে।

আজকে ডায়েরির পাতায় একটা পরিকল্পনা লিখলাম আগামী জন্মদিতে তোমাকে কি কি উপহার দেবো। তোমার চোখে ধাঁধা ধরিয়ে দেবো। তুমি আমার দেওয়া গিফট নিবে না, নিতে চাইবে না তবুও আমার ইচ্ছে করে তোমার জন্য এসব করতে। মনের বিরুদ্ধে কতদিন যুদ্ধ করা যায় বলো?

একবার ভালোবেসে দেখো না আমার পৃথিবী কেমন জ্বলজ্বল করবে তোমার উপস্থিতিতে।

তোমায় লিখলে কথা কখনোই শেষ হবে না, তবুও ইতি টানলাম।

  • রেবা
       8-9-2017

No comments:

Post a Comment