বিশুদ্ধ ভালোবাসা বলে কোন টার্ম নেই। ভালোবাসা সবসময়ই বিশুদ্ধ এবং সদ্যোজাত শিশুর মত সুন্দর, সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতই পবিত্র। যেখানে শুদ্ধতার বালাই নেই, অবিশ্বাসের টানাপোড়েন নেই, শ্রদ্ধার ঝালাই নেই সেটা আর যাহোক ভালোবাসা হতে পারে না। আর কাউকে ভালোবাসাটা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধতম অনুভূতি। পৃথিবীর সাতশ কোটি লোকের মাঝে একজন মাত্র মানুষকে কেউ ভালোবাসে এটা ভাবলেইতো শিহরিত হওয়ার কথা মানুষের, মনে মনে মানব জনমের স্বার্থকতা জয়ধ্বনি করলেও কিছুতেই কম হবে না।
যে কথা বলতেছিলাম, আমিও একবার সেই শুদ্ধতম অনুভূতি পেয়েছি একজনকে ভালোবেসে এবং তাকে ভেবে ভেবে এখনো পাচ্ছি। যার কাছে আমি কখনো মিথ্যে বলার সাহস করতে পারি নি, যার সাথে প্রতারণা করবো এমনটা ভুলেও আমার ধারনায় আসে না, যাকে না পেয়েও পাওয়ার আত্মবিশ্বাস রাখি এবং পদে পদে হারানোর ভয় আমাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয় প্রতিনিয়ত।
নাহ, সে হয়তো কখনো আমায় ভালোবাসে নি, ভালোবাসার মত কোন কনটেন্ট আমার মধ্যে উপস্থিত আছে কিনা আমি তাও জানি না। থাকলেও সেটা তার পছন্দ কিনা তাও জানি না। সে কখনো জানতে দেয় নি। তবুও, চাঁদকে তো মানুষ একতরফা ভালোবাসে, ভালোবাসে বিশাল সমুদ্রকেও। নিজের স্বপ্নকেও তো ভালোবেসে বুকে লালন করে এক জীবন কাটিয়ে দেয় কত মানুষ, কেউ কখনো সেসবের প্রতিউত্তরে উল্টো ভালোবাসা দাবী করে বসে না। প্রকৃত ভালোবাসায় চাওয়ার কিছু থাকে না, দিতে পারার মাঝেই আনন্দ পাওয়া যায়। আমিও সেই মানুষটাকে এক তরফা ভালোবাসি। শুনেছি প্রেমিকরা স্বৈরাচারী হয়, জোর করে হলেও নিজের প্রেমকে কাছে পেতে চায়। আমি স্বৈরাচারী নই, আমি শান্ত শীতল নদীর মত প্রবাহিত হয়ে যাই সমুদ্রের মিলনের আশে, আমি বাবুই পাখির মত সাধনা করে একটু একটু করে ভালোবাসার খড়কুটো জমিয়ে শান্তির নীর বানাতে চাই। ভালোবাসার গাঁথুনি দিয়ে বানানো একটা লাভমহল থাকবে আমার। যেখানে ভালোবাসা কোন নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকবে না, কোন কৈফিয়ত থাকবে না, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে।
বেশিরভাগ বাঙ্গালির দাম্পত্য সম্পর্কই শাসক আর শোষনের সম্পর্ক, রাজা আর ভৃত্যের সম্পর্ক। যে সম্পর্ক শাসনের সে তো দাসের, যে সম্পর্ক প্রতারণা আর মিথ্যাচারের সে তো রাজনীতি আর যে সম্পর্ক চুক্তির সে তো ব্যবসা। আমি এমন কোন সম্পর্ক কখনোই চাইব না আমার ভালোবাসার সাথে।
আমার একটা নীল ডায়েরি যার নামে লেখা হচ্ছে, আমার কম্পিউটারের একটা ফোল্ডারে শোভা পাচ্ছে যার সারি সারি ছবি, আমার ফোনের ওয়ালপেপারটাও দখল করে রাখছে যে নারী, যাকে নিয়ে পত্রিকায় লিখি নানা গল্প, তাঁর সাথে আমার কোন যোগাযোগই হয় না। খুব অবাক করা বিষয় না?
আমি জীবনে বেশিরভাগ সময়ই আদরে আদরেই বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকে তথাকথিত ভালো ছাত্রের তকমা গায়ে থাকাতে পাড়ার ভাঁড় থেকে শুরু করে স্কুলের স্যাররাও আমায় একটু সমীহ করত। হঠাৎ আমি অনুধাবন করলাম আমার জীবনে একটা জিনিসের বড় অভাব। সেটা হল উপেক্ষা, ইংরেজিতে যাকে ইগনোরেন্স বলে। কারো কাছ থেকে উপেক্ষা পেয়ে পেয়ে বুঝলাম জীবনে উপেক্ষা সইবার ক্ষমতা থাকাও দরকার এবং সেটা ভালোই অর্জন করে নিয়েছি। উপেক্ষা আর অপেক্ষা প্রায়ই সমোচ্চারিত শব্দ। তাই উপেক্ষাকে অপেক্ষা ভেবেই স্বস্তি পাই……
আমি প্রায়ই সেই বিউটি এণ্ড ব্রেইনের সাথে ব্রেইন গেমস খেলতাম। যেখানে তার অবচেতন মনের সাথে কথা বলতাম। অবচেতন মন কখনো মিথ্যে বলে না এবং তার অবচেতন মনের ভাষা আমাকে শান্তি দিত, সামনে পা বাড়ানোর রাস্তা দেখাতো, বুকের মাঝে স্বপ্নগুলোকে রঙ্গিন করে দিত অবশেষে আমার দিনটাও ভালো করে দিত। আমি জানি না হঠাৎ করে কি হল, কেন হল…. আমার হাতে সব ক্ষমতা নাই। ভিখিরীর সামনে পড়ে থাকা থালায় গাড়ির চাকা তুলে দিলে তার কিছু করার ক্ষমতা থাকে না কেবল চোখের জল ফেলে কাঁদা ছাড়া। ক্ষমতাহীনের প্রতিবাদইতো চোখের জল।
তুমি আমি মিলে আমাদের ছেলের নাম রেখেছিলাম “রেইডেন”। তোমাকে রেইডেনের মা বলে ডাকতাম। কত ইচ্ছে, কত স্বপ্ন, কত ভবিষ্যৎ কল্পনা মিশে থাকত ঐ একটা ডাকে সেটা আমার ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানে না। ভুল বললাম, তুমিও জানো হানি তাই না?
ইচ্ছে ছিল, তার জন্মদিনে অনেককিছু করবো। তাকে ঢাকা এসে সারপ্রাইজ দিব। কোন রেষ্টুরেন্টে বসে কেক কাটবো। সেই পথ আটকে দিল মানুষটা। অধিকারহীন ভালোবাসা আর ভালোবাসাহীন অধিকার দুটোই কষ্টের। খুব কাছের ভাবা মানুষকে হঠাৎ করে অচেনা বা অপরিচিত ভাবার চেয়ে বেদনাদায়ক আর কিছু নেই। এ যেন নিজের হৃদপিণ্ডকে টেনে বাইরে দিয়ে আসা। কত ভালোবাসা জমে থাকে ওটায় কিন্তু টেনে বাইরে নিয়ে আসলেই অপরিচিত মনে হয়।
ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষটা ভালো থাকা, ভালোবাসা মানে তাকে তার মত বাঁচতে দেওয়া, ভালোবাসা মানে তার পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। ভালোবাসা মানে ভালোবাসার জন্য সবকিছু সেক্রিফাইস করা। আর ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষটার সাথে এক জীবন কাটিয়ে দেওয়ার গোপন অভিলাষ নিয়ে বেঁচে থাকা। সেই অভিলাষ বুকে জমিয়ে রাখলাম নাহয়……
জীবন ক্ষণস্থায়ী। এক জীবনে তোমার সাথে দেখা হওয়াটা আমার সৌভাগ্য। আমি হয়ত পৃথিবীতে আরো একশো বছর আগে কিংবা একশ বছর পরেও আসতে পারতাম। কিন্তু আমার অন্যকোন জীবন হবে কিনা জানি না, হলেও সে জীবনে তুমি থাকবে কিনা তাও জানি না। এক জীবনে একটা চাওয়াও যদি পাওয়া না হয় সেটা অন্য কোন জীবন আমাকে ফিরিয়ে দেবে না। তাই এক জীবনে তোমায় পাওয়ার অপেক্ষা নিয়েই বেঁচে থাকলাম ভালোবাসার দাবী নিয়ে।
শুভ জন্মদিন শ্রাবণ, হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট, বিলাই, রেইডেনের মা, বিউটি এণ্ড ব্রেইন, হানিবানি, শয়তান। <3
ভালো থেকো
ভালো রেখো!
-অপেক্ষা
Tuesday, October 31, 2017
Thursday, October 26, 2017
শ্রাবণপত্র 9 (অ্যাংরি বার্ড)
প্রিয় অ্যাংরি বার্ড,
কেমন আছো? জানো এখনো এমন কোন দিন বাদ যায় না আমি তোমার ইনবক্সে না ঘুরি। আমার ফেসবুকিংয়ের সূচনা ও শেষ হয় তোমার ইনবক্সে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। এক মাসের বেশি হয়ে গেছে তুমি এখনো আমার শেষ মেসেজটা সিন করো নাই। তবুও বেহায়ার মতো মাঝে মাঝে তোমার ফোনে টেক্সট না পাঠিয়ে পারি না। এতো দেমাগ, এতো অহংকার কেন তোমার বল তো শ্রাবণ? এক মাসে একটাবার আমার মেসেজটা পড়ার মতো সময় এবং ইচ্ছে কোনটাই হয় নি তোমার। এতোটা অবজ্ঞা পাওয়ার যোগ্য আমি তোমার কাছে?
জোর করে তো আর ভালোবাসা হয় না। আর তোমাকে জোর করার ইচ্ছে এবং অধিকার কোনটাই আমার নাই। গতকাল রাতে কি স্বপ্নে দেখছি জানো? দেখলাম, তুমি আমায় ইনবক্স করে বলতেছো, লাভ ইউ বেবি সাথে একটা লাভ ইমো। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না মেসেজটা দেখে। আমি ভাবলাম ভুল করে করছো হয়তো। আমি জিজ্ঞেস করলাম মেসেজ কি ভুল করে আসছে? তুমি বললে উহু ঠিক জায়গায়ই গেছে। বিশ্বাস করো আমার জীবনে এতোটা আনন্দের মুহূর্ত আগে কখনোই আসে নি। তোমায় যেদিন আমার করে পাবো সে ক্ষণ, সে দিন, সে বছরটাই হবে আমার সবচেয়ে আরাধ্যের সময়। তোমায় পাওয়ার আনন্দের চেয়ে পৃথিবীর কোন কিছুই আমার কাছে বেশি হতে পারে না, জানো তো শ্রাবণ?
আমার জায়গায় থাকলে তুমি কি করতে জানি না, আমি রোজ যতটা সময় তোমায় ফিল করি ততটা সময়ই আমার কাছে কোয়ালিটি টাইম মনে হয়। শ্রাবণী নামটা শুনলেই আমার হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। হঠাৎ একটা সুখের হাওয়া বয়ে যায় পরক্ষণেই তোমায় না পাওয়ার কষ্ট চেপে বসে বুকে। কি ভয়াবহ ব্যাপার তাই না বলো, এই এক জীবন ছাড়া অন্য কোন জীবনে আমি ভালোবাসতে পারবো না। এ জীবনে তুমি আমার না হলে আমার পুরো মানব জীবনটাই তুমিহীনতায় কেটে যাবে। ভাবলেই বুকের উপর পাথর চেপে বসে।
তোমার সাথে বড্ড পাগলামো করতে ইচ্ছে করে। পুরো জীবনটাই মিশে যেতে চায় তোমার সাথে। তোমার মুখের প্রতিটা কোষ আমার মুখস্থ। জুম করে করে কতো বার দেখি তোমার তার ইয়ত্তা নাই। তোমার গালের তিলটাকে বড্ড ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমার কপালের অস্বচ্ছ একটা দাগকেও।
তোমার জন্য যতটা সহ্য করতে পারবো আমি আর কারো জন্যই এতোটা পারবো না শ্রাবণ। রসায়নে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় অতোটা পটু হয়েও আমি তোমায় আর কাউকে দিয়েই প্রতিস্থাপন করার কথা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারি না মাই ডিয়ার হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট!
জানো, আমার সব ফ্রেন্ডরা তোমার এই নামটা খুব পছন্দ করছে। আমাদের বিয়ের পর সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ভরপুর খাওন দিয়ে বলে দিবো, আমার সোনাটা হার্টলেস নয়, আমার বাবুটারও একটা হার্ট আছে, ও ভালোবাসতে জানে। ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ দেবো আমার জন্য তোমাকে গিফট হিসেবে পাঠিয়েছে বলে।
আজ রাখলাম। কেমন?
- রেবা
Wednesday, October 11, 2017
শ্রাবণপত্র -8 (স্বপ্ন)
প্রিয় শ্রাবণ,
নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে স্বপ্ন ভঙ্গের দায়ে। এতোটা খারাপ কখনো লাগে নি। বিছানায় শুয়ে শুয়েই তাই লিখতে বসলাম। ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হলো কেনইবা ভাঙ্গল ঘুমটা, কেন এটা চললো না অনন্তকাল ধরে। কিছু স্বপ্ন অনন্তকাল যাবত বয়ে যাওয়া উচিত। যে স্বপ্ন বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখায় অন্তত সেগুলো।
কাল রাতে তৃতীয়বারের মতো তোমার স্বপ্ন দেখি শ্রাবণ। দেখি তুমি ফ্যামিলিসহ ঘুরতে গেছো গাড়ি নিয়ে, আমি পাশেই অন্য গাড়িতে। হঠাৎ তুমি গাড়ি থেকে নেমে পড়লে রাস্তার পাশের সাড়ি সাড়ি ফুল গাছ দেখার জন্য, চুম্বকের মতো বাধ্য হয়ে আমিও নামলাম। তোমার হাত ধরে ফুল দেখালাম। এই প্রথম তুমি আমার সাথে কথা বলার আগ্রহ দেখালে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে তোমায় ছুঁয়ে গেল আমার হাত। এতোটা সুখের অনুভূতি আমার আগে কখনোই হয় নি। অনুভূতিগুলোকে যদি ফ্রেম বন্দি করে রাখা যেত তবে আমি ঐ ফিলিংসটুকু আজীবনের জন্য বেঁধে রাখতাম। তোমায় ছুঁয়ে দিলে আমার পৃথিবীটাও স্বর্গ হয়ে যাবে সেটা সত্যি সত্যি তোমার ছোঁয়া না পেলে বুঝতাম না। তোমার পাশের দোকান থেকে সেই পছন্দের অনেকগুলো ফুল কিনে দিলাম। তুমি হঠাৎ আমার কানে কানে কিছু বলতে এসে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার গালে পরম আরাধ্য তোমার অধর ছুঁইয়ে দিলে। এতোটা সুখ আমার সইতেছিলো না। তুমি সত্যি সত্যি এবার আমার হয়েছো আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না। ভালোবাসি বলে ফিরে আসবে এটা জানতাম। বিশ্বাস করো আমার জীবনে এই স্বপ্নই এখন পর্যন্ত আমার বেস্ট ছিলো যে স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতেই চোখের কোণে অনায়াসেই জল চলে আসছিলো। কি পবিত্রতা, কি মোহনীয় তোমার ছোঁয়া। ঘুম ভাঙ্গতেই বুঝলাম স্বপ্নও আমার সাথে প্রতারণা করে। সাথে সাথে ফেসবুকে এসে তোমার ইনবক্সে ঢুকি, তুমি এই সকাল সাতটা বাজেও অনলাইনে। তোমায় স্বপ্নটা লিখতে হাত নিসপিস করছিলো কিন্তু তোমায় না লেখার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আর লিখেও কি হবে তুমি তো আমার লেখা পড়োই না। একটি স্বপ্ন আমি চোখে লেপ্টে রাখতে চাই আজীবন, এটাকে হারাতে দিতে ইচ্ছে করছে না।
দু দিন আগে আমার রুমমেট বেদান্ত স্বপ্নে দেখলো যে তোমার আর আমার প্রেম হয়ে গেছে। আমরা একসাথে ভোলা থেকে বরিশাল আসছি। বেদান্তকে ডেকে নিছি রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে। জানো বেদান্ত বলছে যদি তোমার আর আমার বিয়ে হয় তাহলে সে আমাদের হানিমুনের দুইটা প্লেন টিকেট দিবে।
বাস্তবে তো আমায় কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছো এবার স্বপ্নেও শুরু করলে। কেবল ভালোবাসার দায়ে আর কতকাল অপরাধী বানিয়ে রাখবে শ্রাবণ? ভালোইতো বেসেছি, এটাও অন্যায়?
12-10-2017
7:24. a.m.
শ্রাবণপত্র 7
প্রিয় শ্রাবণ,
অনেক দিন পর একরকম বাধ্য হয়েই লিখতে বসলাম। ভাবছি তোমায় ছেড়ে সবকিছু ভুলে দূরে দূরেই থাকবো কিন্তু তা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমার কথাগুলো কাউকে বলতে পারছি না, তোমার নিয়ে আমার মনের পাড়ায় এতো ঝড় আর তুমি সেসবের কিছুই টের পাচ্ছো না।
তোমার এপ্রোন পরা ছবিগুলো দেখে মাথায় তোমার নিষ্পাপ চেহারাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে দুদিন যাবত। কি পবিত্রতা তোমার চেহারায়, কি স্নিগ্ধতা, কি ভালোবাসা সেটা আমার চেয়ে কেউ বেশী অনুভব করতে পারবে না। তোমায় পাওয়ার আকাঙ্খা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে অবিরাম। তোমায় ছাড়া আমি এখনো কিছু ভাবতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করি, তুমি একদিন ঠিক বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসার গভীর। তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে না শ্রাবণ, আমি চাই তুমি শুধু এটুকু ফিল করো যে এই পৃথিবীতে কেউ একজন বোকার মতো ভালোবাসে তোমাকে।
সেদিন যে কার্ডিয়াক সার্জন মেমের পোস্টে তোমাকে মেনশন দিলাম মেমের ঐ টাইপ রিপ্লাই পেয়ে কি যে ভালো লাগছে তুমি সেটা কখনোই বুঝতে পারবে না। আমার কেবল মনে হচ্ছে তুমি তবুও যদি বুঝতে পারতে আমি কতটা নত হয়েছি। কবিগুরু তো বলেই দিয়েছেন, ভালোবাসা যেখানে গভীর, নত হওয়া সেখানে গৌরবের। ভালোবাসার জন্য আমি বারবার নত হতে রাজী আছি।
একটাইতো জীবন। প্লিজ এক জীবনে আমার হয়ে যাও….
বিশ্বাস করো, অনেক ভালোবাসি, অনেক!
-রেবা
অনেক দিন পর একরকম বাধ্য হয়েই লিখতে বসলাম। ভাবছি তোমায় ছেড়ে সবকিছু ভুলে দূরে দূরেই থাকবো কিন্তু তা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমার কথাগুলো কাউকে বলতে পারছি না, তোমার নিয়ে আমার মনের পাড়ায় এতো ঝড় আর তুমি সেসবের কিছুই টের পাচ্ছো না।
তোমার এপ্রোন পরা ছবিগুলো দেখে মাথায় তোমার নিষ্পাপ চেহারাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে দুদিন যাবত। কি পবিত্রতা তোমার চেহারায়, কি স্নিগ্ধতা, কি ভালোবাসা সেটা আমার চেয়ে কেউ বেশী অনুভব করতে পারবে না। তোমায় পাওয়ার আকাঙ্খা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে অবিরাম। তোমায় ছাড়া আমি এখনো কিছু ভাবতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করি, তুমি একদিন ঠিক বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসার গভীর। তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে না শ্রাবণ, আমি চাই তুমি শুধু এটুকু ফিল করো যে এই পৃথিবীতে কেউ একজন বোকার মতো ভালোবাসে তোমাকে।
সেদিন যে কার্ডিয়াক সার্জন মেমের পোস্টে তোমাকে মেনশন দিলাম মেমের ঐ টাইপ রিপ্লাই পেয়ে কি যে ভালো লাগছে তুমি সেটা কখনোই বুঝতে পারবে না। আমার কেবল মনে হচ্ছে তুমি তবুও যদি বুঝতে পারতে আমি কতটা নত হয়েছি। কবিগুরু তো বলেই দিয়েছেন, ভালোবাসা যেখানে গভীর, নত হওয়া সেখানে গৌরবের। ভালোবাসার জন্য আমি বারবার নত হতে রাজী আছি।
একটাইতো জীবন। প্লিজ এক জীবনে আমার হয়ে যাও….
বিশ্বাস করো, অনেক ভালোবাসি, অনেক!
-রেবা
Subscribe to:
Posts (Atom)