এই যে, তোমার পাশে বসে কত অপরিচিত লোক ভ্রমণ করে,
কোথায় যাবেন? বাসা কোথায় ? বলে কত খোশ গল্প করে,
দশ টাকার বাদাম কিনে তোমার দিকে ঠোঙা বাড়িয়ে ধরে-
তুমি মুচকি হেসে না বলে দাও।
আমি তোমায় ভালোবেসেও তা পারি না।

তার বাড়িয়ে দেয়া হাতে তোমার সাহায্যের হাত রাখো,
কখনো সখনো 'মাফ করেন' বলে তার কথার উত্তর দাও।
অথচ আমিও ভিক্ষুকের মতো দুহাত বাড়িয়ে ভালোবাসা চাইলে মুখ ফিরিয়ে নাও।
এই যে, অসুস্থ কুকুরটাকে কোলে তুলে নাও,
কত যত্মআত্তি করে সুস্থ করে তোলো-
আমি না খেয়ে সটান হয়ে শুয়ে থাকলেও জানো না.
জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেলেও টের পাও না।
গলির মোড়ের দোকানদার, হকার, ফেরিওয়ালা, কটকটিওয়ালা আসে-
তুমি তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে দামাদামি করো-
তারা তোমার চোখের দিকে তাকাতে পারে অনায়াসে।
আমি পারি না, এক বুক হাহাকার নিয়েও আমার সে সৌভাগ্য হয় না।
বাস কন্ডাকটরও ভাড়া চাইতে এসে ‘ভাংতি পরে নিয়েন’ বলে চলে যায়
তুমি খানিক বাদে বাস কন্ডাক্টরকে ‘মামা ভাংতি হইছে’ জিজ্ঞেস করো।
আমি প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে চুড়ে লুটিয়ে পড়লেও খোঁজ নাও না।
বাড়িওয়ালাও নিয়ম করে মাসে একবার ভাড়া তুলতে এসে তোমার দেখা পায়।
মাঝে মইধ্যে সুবিধা অসুবিধা জানতে আসে তোমার কাছে।
অথচ আমি জানি না কবে তোমার সাথে দেখা হবে কিংবা আদৌ এ জীবনে হবে কিনা!
তোমায় এভাবে প্রতিনিয়ত না পাওয়ার কষ্ট হচ্ছে হোক
আমি এক জীবনে অনেক কিছুই না পাওয়া লোক।
রাজীব নন্দী
২৩-১০-২০১৯, সকাল ১১.৩৫
কামাল প্লাজা, বরিশাল মহাশ্মশান।
উৎসর্গঃ আমার দেবীকে
(আমি এ লেখাটা যখন লিখতেছিলাম দেবী তখন বরিশাল টু খুলনা বাসে বাড়ি যাচ্ছে)
No comments:
Post a Comment