Sunday, November 5, 2017

কঙ্কাতন্ত্রের বিনিময়ে ভালোবাসা

শ্রাবণী। সদ্য কলেজের চৌকাঠ পার হইয়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হইয়া অষ্টাদশী বনে গমন করা বালিকা। নাহ, তাহাকে আর যাহাই হোক এখন বালিকা বলা চলে না। দীর্ঘ দশ বছর পাড়ি দিয়া কি করিয়া যে বালিকা হইতে রমণী হইয়া উঠিয়াছে আমি তাহা ভাবিয়া কূল পাই না। ওর মাতুলালয় আমাদের বাড়ির ঠিক উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে। দশ বছর পূর্বে সেই ছোট্টবেলায় চোখকে উপেক্ষা করিয়া গেলেও আজ তাহার উপর হইতে চোখ ফিরানো দুঃসহ কর্ম বটে।

আকাশ হইতে তারা খসিয়া পড়ে, বৃক্ষ হইতে ফল ছুটিয়া পড়ে আর তাই আমিও এই অষ্টাদশীর প্রেমে না পড়িয়া পারিলাম না। তাহা না হইলে যে প্রকৃতির সহিত বিরুদ্ধাচারণ হইবে। কি করিয়া তাহাকে ইমপ্রেস করিতে হইবে তাহা এতোকাল ইমেপ্রেম টেলিফিল্মের রোমান্টিক মুভি দেখিয়াও শিখিয়া লইতে ব্যর্থ হইয়াছি। আমি যে এই অষ্টাদশীকে বড্ড ভালোবাসিয়া ফেলিয়াছি। যাহাকে বলে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট বলিলে হয়তো যথার্থ বলা হইবে। তাই গুগোল কিংবা ভূগোল যাহাই হোক তালাশ করিয়া উপায় আমাকে বাহির করিতেই হইবে।

ছোট বোনকে গুপ্তচর নিয়োগ করিয়া জানিয়া লইলাম যে, এই অষ্টাদশী আর যাহাই হোক অন্যদের হইতে ঢেড় আলাদা। তাহার সহিত আমার প্রেম কাহিনি খুব সহজেই ‘অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো’ এই লাইনে পৌঁছাইয়া যাইবে তাহাও ভাবি না। বহু কাঠখড় পুড়িয়া জলবায়ু চুক্তির অবমাননা করিয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ খানিকটা বাড়িয়া যাইবে তাহা প্রথমেই অনুমান করিয়া লইয়াছি। ভিতরে ভিতরে ইহাও আত্মস্থ করিয়া লইয়াছি যে, মৌচাকের সেই বন্ধুর রাস্তা পদব্রজে হাঁটিয়া তাহার মেডিকেল কলেজের সামনে যদি রোমিও সাজিতে হয় তাও সাজিবো। ভালোবাসার জন্য যুগে যুগে কত মহান প্রেমিক কত কি করিয়াছেন আমি তাহাদের আইডল মানিয়া লইলাম। তবে এখন কিছু একটা দিয়া তো শুরু করিতে হইবে। এতো ভালোবাসা বুকে লইয়া ঘুরিবো অথচ সে জানিতেও পারিবে না তাহা কি করিয়া হয়।

তাই চিঠি লিখিলাম,
“হে ডাক্তারনী,
এনাটমি পড়িতে পড়িতে জীবনটাকে যখন শক্ত হাড্ডির মতই নীরস মনে হইবে তখন ভাবিও কেহ একজন তোমার পাশে খেঁজুর গাছ হইয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছে।
ফিজিওলজি পড়িতে পড়িতে যখন তোমার নিজের ফিজিওলজি ব্যর্থ হইয়া পড়িতে চাইবে তখন ভাবিও কেহ একজন তোমার পাশে আখ গাছ হইয়া দাঁড়াাইয়া রহিয়াছে ।
আর ওপেন হার্ট সার্জারি প্রাকটিস করিবার জন্য যদি কোন রোগী খুঁজিয়া না পাও তবে ভাবিও কেহ একজন তাহার হার্ট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হইয়া রহিয়াছে।”

চিঠিখানা লিখিয়া গুপ্তচর মারফত শ্রাবণীর তালুদাবা করিয়া দিলাম। পরদিন ফিরতি চিঠি আমার হস্তে আসিয়া পড়িল যাহাতে লিখা রহিয়াছে-

“হে খেঁজুর গাছ, আখ গাছ ও হার্টের রোগী,
আমি আপনার লেখার মুগ্ধ। শুধু চিঠি পড়িয়াই এতোটা বিমোহিত হইলাম, আপনি উপন্যাস লিখিলে তাহা পড়িয়া আমার কি করুণ অবস্থা হইতো তাহা কেবল ঈশ্বরই জানে। শুনে রাখেন, আমি অত সহজে পটিয়া যাইবার পাত্রী নহে। তবে একখানা শর্ত দিলাম আপনাকে, আকাশে যখনই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি দেখা যাইবে তখন যদি একখানা ডিঙ্গি নৌকা লইয়া মালিবাগ-মৌচাকের রাস্তায় হাজির হইয়া আমাকে পাড় করিয়া  কলেজে পৌঁছাইয়া দিতে পারেন তবেই আমি বিষয়খানা ভাবিয়া দেখিবো।”

আমি অতঃপর বলিলাম, ইহা আর এমন কি? তুমি চাইলে উত্তর কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রকে মিলাইয়া দিতে পারি, বন্ধুর সম্পর্ক তৈরি করিয়া দিতে পারি ভারত আর পাকিস্তানের মইধ্যেও। তুমি চাইলে অং সাং সুচি’র বুকে ঢালিয়া দিতে পারি এক ড্রাম মানবতা, তুমি চাইলে চালের বাজারে শায়েস্তা খাঁ’র আইন চালু করিয়া দিতে পারি। আর তুমি কিনা সামান্য এইটা চাইলা!

ফিরতি বার্তায় অষ্টাদশী বলিল, বাহ! আমি পটিয়া গিয়াছি হে। তবে আমি অতোকিছু চাহিবার পাত্রী নই। আমি চাই আপনি ইয়ে মানে তুমি সব সময় আমার চক্ষুর সম্মুখ জুড়িয়া থাকো। পড়িতে বসিলেও যাহাতে তোমায় দেখিতে পাই, ইচ্ছে হইলেই ছুঁইয়া দেখিতে পারি। আমার সহিত তুমি আমার ক্লাসে যাইবা আবার ফিরিয়া আসিবা। আমার পড়ার টেবিল থেকে বেডরুম সবখানেই তোমার প্রবেশাধিকার দেওয়া হইবে।

এহেন চিঠি দেখিয়া আমি বারবার চক্ষু ডলিতে লাগিলাম; আমি কি ঠিকঠাক পড়িতেছি কিনা। তাই দেরি না করিয়াই জানিতে চাহিলাম, “সেটা এক্ষুনি কি করিয়া সম্ভব হে? তবুও আমার তর সহে না। উপায় বলিয়া দাও কি করিয়া তাহা সম্ভব হইবে?”

অষ্টাদশী বলিল, সদ্য এনাটমী পড়িতে শুরু করিয়াছি। বাজারে খুঁজিয়াও ভালো মানের কঙ্কাল কিনিতে পারি নাই। তোমার বডির কংকালতন্ত্রটা আমাকে দিয়া দিলেই একটা কঙ্কালের অভাব পূরণ হইবে বলিয়া অনুমান করি। এতো ভালোবাসো যেহেতু পারিবে কি তোমার কঙ্কালখানা দিতে? যদি পারো তবে চিঠি দিয়া জানাইবে কিন্ত। তবেই সবসময় তুমি আমার সহিত থাকিতে পারিবে, ব্যস?

অতঃপর আমি চিঠি লিখিবার জন্য কলম কিংবা ডায়েরি কিছুই খুঁজিয়া পাই নাই। আর আমাকেও সেই অষ্টাদশীর চৌ-হদ্দিতে কখনো খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।

- রাজীব নন্দী
০৬-১০-২০১৭

Tuesday, October 31, 2017

শুভ জন্মদিন হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট

বিশুদ্ধ ভালোবাসা বলে কোন টার্ম নেই। ভালোবাসা সবসময়ই বিশুদ্ধ এবং সদ্যোজাত শিশুর মত সুন্দর, সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতই পবিত্র। যেখানে শুদ্ধতার বালাই নেই, অবিশ্বাসের টানাপোড়েন নেই, শ্রদ্ধার ঝালাই নেই সেটা আর যাহোক ভালোবাসা হতে পারে না। আর কাউকে ভালোবাসাটা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধতম অনুভূতি। পৃথিবীর সাতশ কোটি লোকের মাঝে একজন মাত্র মানুষকে কেউ ভালোবাসে এটা ভাবলেইতো শিহরিত হওয়ার কথা মানুষের, মনে মনে মানব জনমের স্বার্থকতা জয়ধ্বনি করলেও কিছুতেই কম হবে না।
যে কথা বলতেছিলাম, আমিও একবার সেই শুদ্ধতম অনুভূতি পেয়েছি একজনকে ভালোবেসে এবং তাকে ভেবে ভেবে এখনো পাচ্ছি। যার কাছে আমি কখনো মিথ্যে বলার সাহস করতে পারি নি, যার সাথে প্রতারণা করবো এমনটা ভুলেও আমার ধারনায় আসে না, যাকে না পেয়েও পাওয়ার আত্মবিশ্বাস রাখি এবং পদে পদে হারানোর ভয় আমাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয় প্রতিনিয়ত।

নাহ, সে হয়তো কখনো আমায় ভালোবাসে নি, ভালোবাসার মত কোন কনটেন্ট আমার মধ্যে উপস্থিত আছে কিনা আমি তাও জানি না। থাকলেও সেটা তার পছন্দ কিনা তাও জানি না। সে কখনো জানতে দেয় নি। তবুও, চাঁদকে তো মানুষ একতরফা ভালোবাসে, ভালোবাসে বিশাল সমুদ্রকেও। নিজের স্বপ্নকেও তো ভালোবেসে বুকে লালন করে এক জীবন কাটিয়ে দেয় কত মানুষ, কেউ কখনো সেসবের প্রতিউত্তরে উল্টো ভালোবাসা দাবী করে বসে না। প্রকৃত ভালোবাসায় চাওয়ার কিছু থাকে না, দিতে পারার মাঝেই আনন্দ পাওয়া যায়। আমিও সেই মানুষটাকে এক তরফা ভালোবাসি। শুনেছি প্রেমিকরা স্বৈরাচারী হয়, জোর করে হলেও নিজের প্রেমকে কাছে পেতে চায়। আমি স্বৈরাচারী নই, আমি শান্ত শীতল নদীর মত প্রবাহিত হয়ে যাই সমুদ্রের মিলনের আশে, আমি বাবুই পাখির মত সাধনা করে একটু একটু করে ভালোবাসার খড়কুটো জমিয়ে শান্তির নীর বানাতে চাই। ভালোবাসার গাঁথুনি দিয়ে বানানো একটা লাভমহল থাকবে আমার। যেখানে ভালোবাসা কোন নিয়মের বেড়াজালে আটকে থাকবে না, কোন কৈফিয়ত থাকবে না, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে।

বেশিরভাগ বাঙ্গালির দাম্পত্য সম্পর্কই শাসক আর শোষনের সম্পর্ক, রাজা আর ভৃত্যের সম্পর্ক। যে সম্পর্ক শাসনের সে তো দাসের, যে সম্পর্ক প্রতারণা আর মিথ্যাচারের সে তো রাজনীতি আর যে সম্পর্ক চুক্তির সে তো ব্যবসা। আমি এমন কোন সম্পর্ক কখনোই চাইব না আমার ভালোবাসার সাথে।

আমার একটা নীল ডায়েরি যার নামে লেখা হচ্ছে, আমার কম্পিউটারের একটা ফোল্ডারে শোভা পাচ্ছে যার সারি সারি ছবি, আমার ফোনের ওয়ালপেপারটাও দখল করে রাখছে যে নারী, যাকে নিয়ে পত্রিকায় লিখি নানা গল্প, তাঁর সাথে আমার কোন যোগাযোগই হয় না। খুব অবাক করা বিষয় না?

আমি জীবনে বেশিরভাগ সময়ই আদরে আদরেই বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকে তথাকথিত ভালো ছাত্রের তকমা গায়ে থাকাতে পাড়ার ভাঁড় থেকে শুরু করে স্কুলের স্যাররাও আমায় একটু সমীহ করত। হঠাৎ আমি অনুধাবন করলাম আমার জীবনে একটা জিনিসের বড় অভাব। সেটা হল উপেক্ষা, ইংরেজিতে যাকে ইগনোরেন্স বলে। কারো কাছ থেকে উপেক্ষা পেয়ে পেয়ে বুঝলাম জীবনে উপেক্ষা সইবার ক্ষমতা থাকাও দরকার এবং সেটা ভালোই অর্জন করে নিয়েছি। উপেক্ষা আর অপেক্ষা প্রায়ই সমোচ্চারিত শব্দ। তাই উপেক্ষাকে অপেক্ষা ভেবেই স্বস্তি পাই……

আমি প্রায়ই সেই বিউটি এণ্ড ব্রেইনের সাথে ব্রেইন গেমস খেলতাম। যেখানে তার অবচেতন মনের সাথে কথা বলতাম। অবচেতন মন কখনো মিথ্যে বলে না এবং তার অবচেতন মনের ভাষা আমাকে শান্তি দিত, সামনে পা বাড়ানোর রাস্তা দেখাতো, বুকের মাঝে স্বপ্নগুলোকে রঙ্গিন করে দিত অবশেষে আমার দিনটাও ভালো করে দিত। আমি জানি না হঠাৎ করে কি হল, কেন হল…. আমার হাতে সব ক্ষমতা নাই। ভিখিরীর সামনে পড়ে থাকা থালায় গাড়ির চাকা তুলে দিলে তার কিছু করার ক্ষমতা থাকে না কেবল চোখের জল ফেলে কাঁদা ছাড়া। ক্ষমতাহীনের প্রতিবাদইতো চোখের জল।

তুমি আমি মিলে আমাদের ছেলের নাম রেখেছিলাম “রেইডেন”। তোমাকে রেইডেনের মা বলে ডাকতাম। কত ইচ্ছে, কত স্বপ্ন, কত ভবিষ্যৎ কল্পনা মিশে থাকত ঐ একটা ডাকে সেটা আমার ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানে না। ভুল বললাম, তুমিও জানো হানি তাই না?

ইচ্ছে ছিল, তার জন্মদিনে অনেককিছু করবো। তাকে ঢাকা এসে সারপ্রাইজ দিব। কোন রেষ্টুরেন্টে বসে কেক কাটবো। সেই পথ আটকে দিল মানুষটা। অধিকারহীন ভালোবাসা আর ভালোবাসাহীন অধিকার দুটোই কষ্টের। খুব কাছের ভাবা মানুষকে হঠাৎ করে অচেনা বা অপরিচিত ভাবার চেয়ে বেদনাদায়ক আর কিছু নেই। এ যেন নিজের হৃদপিণ্ডকে টেনে বাইরে দিয়ে আসা। কত ভালোবাসা জমে থাকে ওটায় কিন্তু টেনে বাইরে নিয়ে আসলেই অপরিচিত মনে হয়।

ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষটা ভালো থাকা, ভালোবাসা মানে তাকে তার মত বাঁচতে দেওয়া, ভালোবাসা মানে তার পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। ভালোবাসা মানে ভালোবাসার জন্য সবকিছু সেক্রিফাইস করা। আর ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষটার সাথে এক জীবন কাটিয়ে দেওয়ার গোপন অভিলাষ নিয়ে বেঁচে থাকা। সেই অভিলাষ বুকে জমিয়ে রাখলাম নাহয়……

জীবন ক্ষণস্থায়ী। এক জীবনে তোমার সাথে দেখা হওয়াটা আমার সৌভাগ্য। আমি হয়ত পৃথিবীতে আরো একশো বছর আগে কিংবা একশ বছর পরেও আসতে পারতাম। কিন্তু আমার অন্যকোন জীবন হবে কিনা জানি না, হলেও সে জীবনে তুমি থাকবে কিনা তাও জানি না। এক জীবনে একটা চাওয়াও যদি পাওয়া না হয় সেটা অন্য কোন জীবন আমাকে ফিরিয়ে দেবে না। তাই এক জীবনে তোমায় পাওয়ার অপেক্ষা নিয়েই বেঁচে থাকলাম ভালোবাসার দাবী নিয়ে।

শুভ জন্মদিন শ্রাবণ, হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট, বিলাই, রেইডেনের মা, বিউটি এণ্ড ব্রেইন, হানিবানি, শয়তান। <3

ভালো থেকো
ভালো রেখো!

-অপেক্ষা

Thursday, October 26, 2017

শ্রাবণপত্র 9 (অ্যাংরি বার্ড)

প্রিয় অ্যাংরি বার্ড,
কেমন আছো? জানো এখনো এমন কোন দিন বাদ যায় না আমি তোমার ইনবক্সে না ঘুরি। আমার ফেসবুকিংয়ের সূচনা ও শেষ হয় তোমার ইনবক্সে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। এক মাসের বেশি হয়ে গেছে তুমি এখনো আমার শেষ মেসেজটা সিন করো নাই। তবুও বেহায়ার মতো মাঝে মাঝে তোমার ফোনে টেক্সট না পাঠিয়ে পারি না। এতো দেমাগ, এতো অহংকার কেন তোমার বল তো শ্রাবণ? এক মাসে একটাবার আমার মেসেজটা পড়ার মতো সময় এবং ইচ্ছে কোনটাই হয় নি তোমার। এতোটা অবজ্ঞা পাওয়ার যোগ্য আমি তোমার কাছে?

জোর করে তো আর ভালোবাসা হয় না। আর তোমাকে জোর করার ইচ্ছে এবং অধিকার কোনটাই আমার নাই। গতকাল রাতে কি স্বপ্নে দেখছি জানো? দেখলাম, তুমি আমায় ইনবক্স করে বলতেছো, লাভ ইউ বেবি সাথে একটা লাভ ইমো। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না মেসেজটা দেখে। আমি ভাবলাম ভুল করে করছো হয়তো। আমি জিজ্ঞেস করলাম মেসেজ কি ভুল করে আসছে? তুমি বললে উহু ঠিক জায়গায়ই গেছে। বিশ্বাস করো আমার জীবনে এতোটা আনন্দের মুহূর্ত আগে কখনোই আসে নি। তোমায় যেদিন আমার করে পাবো সে ক্ষণ, সে দিন, সে বছরটাই হবে আমার সবচেয়ে আরাধ্যের সময়। তোমায় পাওয়ার আনন্দের চেয়ে পৃথিবীর কোন কিছুই আমার কাছে বেশি হতে পারে না, জানো তো শ্রাবণ?

আমার জায়গায় থাকলে তুমি কি করতে জানি না, আমি রোজ যতটা সময় তোমায় ফিল করি ততটা সময়ই আমার কাছে কোয়ালিটি টাইম মনে হয়। শ্রাবণী নামটা শুনলেই আমার হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। হঠাৎ একটা সুখের হাওয়া বয়ে যায় পরক্ষণেই তোমায় না পাওয়ার কষ্ট চেপে বসে বুকে। কি ভয়াবহ ব্যাপার তাই না বলো, এই এক জীবন ছাড়া অন্য কোন জীবনে আমি ভালোবাসতে পারবো না। এ জীবনে তুমি আমার না হলে আমার পুরো মানব জীবনটাই তুমিহীনতায় কেটে যাবে। ভাবলেই বুকের উপর পাথর চেপে বসে।

তোমার সাথে বড্ড পাগলামো করতে ইচ্ছে করে। পুরো জীবনটাই মিশে যেতে চায় তোমার সাথে। তোমার মুখের প্রতিটা কোষ আমার মুখস্থ। জুম করে করে কতো বার দেখি তোমার তার ইয়ত্তা নাই। তোমার গালের তিলটাকে বড্ড ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমার কপালের অস্বচ্ছ একটা দাগকেও।

তোমার জন্য যতটা সহ্য করতে পারবো আমি আর কারো জন্যই এতোটা পারবো না শ্রাবণ। রসায়নে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় অতোটা পটু হয়েও আমি তোমায় আর কাউকে দিয়েই প্রতিস্থাপন করার কথা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারি না মাই ডিয়ার হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট!

জানো, আমার সব ফ্রেন্ডরা তোমার এই নামটা খুব পছন্দ করছে। আমাদের বিয়ের পর সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ভরপুর খাওন দিয়ে বলে দিবো, আমার সোনাটা হার্টলেস নয়, আমার বাবুটারও একটা হার্ট আছে, ও ভালোবাসতে জানে। ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ দেবো আমার জন্য তোমাকে গিফট হিসেবে পাঠিয়েছে বলে।

আজ রাখলাম। কেমন? 

- রেবা

Wednesday, October 11, 2017

শ্রাবণপত্র -8 (স্বপ্ন)

প্রিয় শ্রাবণ,
নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে স্বপ্ন ভঙ্গের দায়ে। এতোটা খারাপ কখনো লাগে নি। বিছানায় শুয়ে শুয়েই তাই লিখতে বসলাম। ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হলো কেনইবা ভাঙ্গল ঘুমটা, কেন এটা চললো না অনন্তকাল ধরে। কিছু স্বপ্ন অনন্তকাল যাবত বয়ে যাওয়া উচিত। যে স্বপ্ন বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখায় অন্তত সেগুলো।

কাল রাতে তৃতীয়বারের মতো তোমার স্বপ্ন দেখি শ্রাবণ। দেখি তুমি ফ্যামিলিসহ ঘুরতে গেছো গাড়ি নিয়ে, আমি পাশেই অন্য গাড়িতে। হঠাৎ তুমি গাড়ি থেকে নেমে পড়লে রাস্তার পাশের সাড়ি সাড়ি ফুল গাছ দেখার জন্য, চুম্বকের মতো বাধ্য হয়ে আমিও নামলাম। তোমার হাত ধরে ফুল দেখালাম। এই প্রথম তুমি আমার সাথে কথা বলার আগ্রহ দেখালে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে তোমায় ছুঁয়ে গেল আমার হাত। এতোটা সুখের অনুভূতি আমার আগে কখনোই হয় নি। অনুভূতিগুলোকে যদি ফ্রেম বন্দি করে রাখা যেত তবে আমি ঐ ফিলিংসটুকু আজীবনের জন্য বেঁধে রাখতাম। তোমায় ছুঁয়ে দিলে আমার পৃথিবীটাও স্বর্গ হয়ে যাবে সেটা সত্যি সত্যি তোমার ছোঁয়া না পেলে বুঝতাম না। তোমার পাশের দোকান থেকে সেই পছন্দের অনেকগুলো ফুল কিনে দিলাম। তুমি হঠাৎ আমার কানে কানে কিছু বলতে এসে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার গালে পরম আরাধ্য তোমার অধর ছুঁইয়ে দিলে। এতোটা সুখ আমার সইতেছিলো না। তুমি সত্যি সত্যি এবার আমার হয়েছো আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না। ভালোবাসি বলে ফিরে আসবে এটা জানতাম। বিশ্বাস করো আমার জীবনে এই স্বপ্নই এখন পর্যন্ত আমার বেস্ট ছিলো যে স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতেই চোখের কোণে অনায়াসেই জল চলে আসছিলো। কি পবিত্রতা, কি মোহনীয় তোমার ছোঁয়া। ঘুম ভাঙ্গতেই বুঝলাম স্বপ্নও আমার সাথে প্রতারণা করে। সাথে সাথে ফেসবুকে এসে তোমার ইনবক্সে ঢুকি, তুমি এই সকাল সাতটা বাজেও অনলাইনে। তোমায় স্বপ্নটা লিখতে হাত নিসপিস করছিলো কিন্তু তোমায় না লেখার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আর লিখেও কি হবে তুমি তো আমার লেখা পড়োই না। একটি স্বপ্ন আমি চোখে লেপ্টে রাখতে চাই আজীবন, এটাকে হারাতে দিতে ইচ্ছে করছে না।

দু দিন আগে আমার রুমমেট বেদান্ত স্বপ্নে দেখলো যে তোমার আর আমার প্রেম হয়ে গেছে। আমরা একসাথে ভোলা থেকে বরিশাল আসছি। বেদান্তকে ডেকে নিছি রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে। জানো বেদান্ত বলছে যদি তোমার আর আমার বিয়ে হয় তাহলে সে আমাদের হানিমুনের দুইটা প্লেন টিকেট দিবে।

বাস্তবে তো আমায় কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছো এবার স্বপ্নেও শুরু করলে। কেবল ভালোবাসার দায়ে আর কতকাল অপরাধী বানিয়ে রাখবে শ্রাবণ? ভালোইতো বেসেছি, এটাও অন্যায়?

12-10-2017
7:24. a.m.

শ্রাবণপত্র 7

প্রিয় শ্রাবণ,
অনেক দিন পর একরকম বাধ্য হয়েই লিখতে বসলাম। ভাবছি তোমায় ছেড়ে সবকিছু ভুলে দূরে দূরেই থাকবো কিন্তু তা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আমার কথাগুলো কাউকে বলতে পারছি না, তোমার নিয়ে আমার মনের পাড়ায় এতো ঝড় আর তুমি সেসবের কিছুই টের পাচ্ছো না।

তোমার এপ্রোন পরা ছবিগুলো দেখে মাথায় তোমার নিষ্পাপ চেহারাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে দুদিন যাবত। কি পবিত্রতা তোমার চেহারায়, কি স্নিগ্ধতা, কি ভালোবাসা সেটা আমার চেয়ে কেউ বেশী অনুভব করতে পারবে না। তোমায় পাওয়ার আকাঙ্খা আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে অবিরাম। তোমায় ছাড়া আমি এখনো কিছু ভাবতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করি, তুমি একদিন ঠিক বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসার গভীর। তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে না শ্রাবণ, আমি চাই তুমি শুধু এটুকু ফিল করো যে এই পৃথিবীতে কেউ একজন বোকার মতো ভালোবাসে তোমাকে।

সেদিন যে কার্ডিয়াক সার্জন মেমের পোস্টে তোমাকে মেনশন দিলাম মেমের ঐ টাইপ রিপ্লাই পেয়ে কি যে ভালো লাগছে তুমি সেটা কখনোই বুঝতে পারবে না। আমার কেবল মনে হচ্ছে তুমি তবুও যদি বুঝতে পারতে আমি কতটা নত হয়েছি। কবিগুরু তো বলেই দিয়েছেন, ভালোবাসা যেখানে গভীর, নত হওয়া সেখানে গৌরবের। ভালোবাসার জন্য আমি বারবার নত হতে রাজী আছি।

একটাইতো জীবন। প্লিজ এক জীবনে আমার হয়ে যাও….
বিশ্বাস করো, অনেক ভালোবাসি, অনেক!

-রেবা

Monday, September 18, 2017

শ্রাবণপত্র 6


প্রিয় হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট,
কেমন আছো?
জানি ভালো আছো। কয়েকদিন যাবত এই বিরক্তিকর মানুষটা তোমায় আর বিরক্ত করছে না তাই ভালো থাকারই কথা। আমার এক ঘন্টা পড়ার মাঝে অনেকটা সময়ই কেটে যায় তোমার ভাবনায়। পড়তে অনিচ্ছা লাগলেও তোমার কথা ভেবে আবার পড়তে বসি। তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য হলেও তো একটা সরকার চাকরি চাই নাকি, আর সরকার চাকরি মানে বিসিএস পুলিশ কিংবা এডমিনের বাইরে ভাবতে পারছি না এখন।

শ্রাবণ, তোমায় আমায় ফিলিংসটা যদি একবার দেখাতে পারতাম বা বোঝাতে পারতাম তারপর মরে গেলেও শান্তি পেতাম জানো। একটা লোক বোকার মতো ভালোবাসে কাউকে, ক্ষণে ক্ষণে ভেবে যায় কাউকে, তার কথা ভাবলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়, যাকে পাওয়ার জন্য সবকিছু সঁপে দিতে রাজী হয় আর সেই মানুষটা যদি নাইবা জানলো তাকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাটা। এ যন্ত্রণা যে ভোগ না করছে সে ছাড়া কেউ বুঝবে না।

তুমি হয়তো ভাবতেছো যেহেতু তোমার সাথে যোগাযোগ নেই সেহেতু বোধহয় দুরত্ব বেড়ে গেছে কিন্তু আমার ভেতরে ভেতরে ঠিক উল্টোটা চলতেছে। কি ইচ্ছে হয় জানো? তোমাতে জোর করে তুলে এনে কেবল একবার বুঝাই, কেবল একবার তুমি বুঝো আমার পৃথিবী আজ কিরকম ওলট পালট হয়ে গেছে।

আজকে ডায়েরির পাতায় একটা পরিকল্পনা লিখলাম আগামী জন্মদিতে তোমাকে কি কি উপহার দেবো। তোমার চোখে ধাঁধা ধরিয়ে দেবো। তুমি আমার দেওয়া গিফট নিবে না, নিতে চাইবে না তবুও আমার ইচ্ছে করে তোমার জন্য এসব করতে। মনের বিরুদ্ধে কতদিন যুদ্ধ করা যায় বলো?

একবার ভালোবেসে দেখো না আমার পৃথিবী কেমন জ্বলজ্বল করবে তোমার উপস্থিতিতে।

তোমায় লিখলে কথা কখনোই শেষ হবে না, তবুও ইতি টানলাম।

  • রেবা
       8-9-2017

Tuesday, September 5, 2017

শ্রাবণপত্র 5

যে নাম ফিরে আসে বারংবার নিউরনে
সে নাম আমায় তাড়িয়ে বেড়ায় অনুরণনে!

প্রিয় শ্রাবণ,
গতকাল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমায় আর এসএমএস করবো না। শুনে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছো। তবে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে এক সপ্তাহ। সিদ্ধান্তটা অবশ্য আমার না, আমার পেছনে যেসব উপদেষ্টা নিয়োজিত আছে, যারা সকাল বিকাল রাতে এসএমএস করে জানতে চায়, “কি আপনার মহারানী রিপ্লাই দিছে!” এই সিদ্ধান্তটা আমার প্রধান উপদেষ্টার। আমি সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়ি। আমার সবকিছুতেই তোমার বিরক্ত, সবকিছুই তোমার অপছন্দ, আমার সকল কাজেই তুমি দোষ খুঁজবে। আমি ভেবে পাই না আমার কি করা উচিত। মানুষ অতি খুশি আর অতি দুঃখের মুখোমুখি হলে এমনটা হয়। কি করবে ভেবে পায় না। আমার নিশ্চয়ই প্রথমটা হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই।

তুমি জানো না, রোজ কয়েক মিনিট পরপর তোমার ইনবক্সে না ঢুকলে আমার স্বস্তি হয় না। তোমায় যখন ইনবক্সে দেখি আমার কত কথা লিখতে ইচ্ছে করে, কতবার কতকিছু লিখে কেটে দিয়েছি সেটা আমার ঈশ্বর জানে। আমার মনে হয় তোমাকে আমি বিরক্ত করতেছি। জানো তোমার বিন্দুমাত্র বিরক্তিকর কারণ হতে চাই না আমি। আমার কেন যেন মনে হয়, তুমি ভালোবাসাকে অপরাধের পর্যায়ে নিয়ে গেছো।

যে কথা বলতেছিলাম, সকালবেলা ইংরেজি গ্রামারের Synonym পুড়তেছিলাম। তুমি যদি আমার পাশে বসে থাকতে আমি নিশ্চিত তুমি কখনো হাসতে কখনো বা কেঁদে দিতে। নতুন নতুন শব্দগুলোর মনে রাখার সহজ উপায় হলো সেটা দিয়ে বাক্য রচনা করে। আর আমার সকল বাক্য রচনাই তোমায় ঘিরে। যেমন ধরো,
Incredible(অবিশ্বাস্য) দিয়ে বাক্য রচনা করলে, It will be a incredible event in this era of 21th Century if My Srabon will reply me.
Dishearten ( নিরুৎসাহিত করা) - Some of my advisor dishearten me to give up the hope of your love but only my principal advisor says me to keep up hope and patience.

খুব পাগল না আমি বলো? কি করবো বলো! এক জীবনে পাগলামি করেও যদি তোমায় পাই তবে পাগলামি করতে ক্ষতি কি! আমার পৃথিবী তোমার সাথে সন্ধি করে ফেলেছে। কেবল তোমার সম্মতির অপেক্ষায়। আমাদের প্রেমের এবং বিবাহপরবর্তী রোমান্টিক দিনগুলোর কথা ভেবে ভেবে আমি রোমাঞ্চিত হয়ে যাই। কথা দিলাম তোমার এক পৃথিবী সুখ দিতে না পারি, কখনো তোমার খারাপ লাগার কারণ হবো না। একটু ভালোবাসাইতো চেয়েছি বলো, আর তো কিছু নয় হার্টলেস!


রেইডেনের বাপ
5-9-2017

Tuesday, August 29, 2017

র‌্যাগ ডে র্টি শার্ট সাহিত্য

ভার্সিটির শেষ দিনে মানে র‌্যাগ ডে’তে আমার র্টি শার্টে স্বাধীনভাবে লিখতে দেওয়ায় টি শার্ট সাহিত্যে কে কি উক্তি প্রসব করছেন তাই বহু কষ্টে উদ্ধার করা হল। কিছু নাম উদ্দার করতে পারি নি বা কেউ নাম লেখেই নি।

১.    কবি হ, লেখক হ, কিন্তু আর. এম. গুপ্ত হইস না – নাইম আক্তার পলাশ।
২.    বি হ্যাপি ইন ক্যারিয়ার- অসিত কুমার পাল স্যার
৩.    অল দ্য বেস্ট ইন ইউর নিউ মিশন- মিল্টন স্যার
৪.    লেখক লেখক ভাব, লেখিকার অভাব- সুজলা দি
৫.    গার্ল ফ্রে- একটু কমাইস, যদিও তুই বাল্যকাল থেকেই সিঙ্গেল - শারমিন রত্না।
৬.    প্রিয় লেখক - আতিকুর রহমান মিলন।
৭.    জীবনের ক্যানভাস লেখনির মতই জীবরÍ হোক
৮.    প্যাঁচআল চলতেই থাকুক - রাফি।
৯.    আপ্পিবাজ  -
১০.    কবি অনেক বড় লেখক হউন -  রিংকু
১১.    বন খাটাশ তোমাকে অনেক মিস করব- ফাতেমা মনি
১২.    দাদা স্যুভেনিয়রের লেখাটা তাড়াতাড়ি দিয়েন- কাওসার
১৩.    তুই এত কৃপণ কেন? - আফরোজ
১৪.    ব্যাথার ওষুধ খা, না হলে বুকের ব্যাথাটা কমবে না-
১৫.    ক্যাট বালিকা শুধু তোমাকেই চায়- রাকিব
১৬.    চালিয়ে যাও- বিজয়
১৭.    দাদা সীমাহীন ভালোবাসা - আশিষ
১৮.    আর লুইচ্চা হইস না - বেদান্ত
১৯.    লাভ ইউ - সুব্রত
২০.    মনে রেখ রুমমেট- সবুজ খান
২১.    নিষিদ্ধ দ্বিপদী, ভালোবাসা- নিশাত
২২.    ভালো থাকিস দোস্ত- লিজা
২৩.    একজন নিয়া থাক, ফুলে ফুলে ওড়াওড়ি ভালো না- সেতু
২৪.    লাভ ইউ- সুব্রত
২৫.    পঁচা দেশি- অনু
২৬.    একটু জায়গা হবে হৃদয়ে?- কামাল।
২৭.    ভাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করবের।-
২৮.    লেখালেখি চালিয়ে যাও – সুজয়
২৯.    আরো বই চাই -২কে
৩০.    ভালো থাকবি সবসময় রাইটার
৩১.    মিস করবো দাদা – হুমায়ুন (১৪ ব্যাচ)
৩২.    অলওয়েজ উইদ ইউ - বিজয়
৩৩.    কবি অনেক বড় লেখক হউন - রিংকু (১২ ব্যাচ)
৩৪.    কবে আইব আপনার পালারে - 
৩৫.    তুই এক কৃপণ কেন - দেশি আফরোজ
৩৬.    রাজীব লেখাটা বেশি বেশি লেখো – ফার্স্ট গার্ল প্রীতি
৩৭.    দাদা বিয়ের দাওয়াত যেন পাই
৩৮.    মিস করব দোন্ত, আরো ভালো ভালো লেখ - টুম্পা
৩৯.    ব্লগারের ফাঁসি চাই – পরকীয়া কমিটির সভাপতি অলিউল
৪০.    লাভ ইউ দাদা -
৪১.    ভন্ড; লগে একখান কার্টুন আঁকা - সাবরিনা মিতু ( ১১ ব্যাচ)
৪২.    মিস ইউ রাজীব- ভাইভামেট ইলু
৪৩.    দাদা তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেন – সুমন (১২ ব্যাচ)
৪৪.    এইবার একটা বিয়ে কর ফ্রি দাওয়াত খাই  - আরিফ
৪৫.    সুন্দর হোক আগামির পথচলা-
৪৬.    উইল মিস ইউ - শোভন
৪৭.    আমাদের লেখক ভাই দোয়া ও ভালোবাসা - ফেরদৌস
৪৮.    দাদা, উৎসাহ সবাই দিতে পারে না, পাশে থাকবেন- আশিষ
৪৯.    দাদা অনেক মিস করবো- সুফল (১২ ব্যাচ)
৫০.    লুচ্চা রাইটার- মিস্টার নেপাল সুমিত সিং
৫১.    লাভ ইউ রাইটার - উষা

1    ৫২Being win in all places, will be your main target. I expect your win- Columnist Suman Paul

 ৫৩.    কিছু কথা থাকুক না বলাই, আলবিদা।

রাজীব নন্দী

Tuesday, August 15, 2017

শ্রাবণপত্র 4

প্রিয় শ্রাবণ,
হয়ত ভালো আছো নয়তো কিঞ্চিত খারাপ। জানি না জানার কোন উপায় রাখো নি কিংবা নিজেকে আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেই সুখবোধ করো। যেজন্য লিখতে বসলাম সে কথাটা বলি,

জানো আমার খুব ইচ্ছে তোমায় সারপ্রাইজ দিবো, একটা অভিনব সারপ্রাইজ। তুমি সুবোধ বালিকা রোজকার মতো হেঁটে হেঁটে মেডিকেলে যাচ্ছো। মাথায় আইটেমের প্রচণ্ড চাপ। তোমার সেই দজ্জাল মেমটা যে মেমটাকে আমি দেখতে পারি না তোমাকে অপছন্দ করে বলে একটু পরেই তার পরীক্ষা। হাঁটার পথে হঠাৎ ভাবছো আজকে তোমার জন্মদিন অথচ আজকেও ক্লাস করা লাগতেছে। বিশ্বাস করো আমি যদি তোমার কলেজের প্রিন্সিপাল হতাম তোমার মেডিকেল কলেজ 16 জুন বন্ধ ঘোষণা করে দিতাম।

যেকথা বলতেছিলাম, হাঁটার পথে হঠাৎ তোমার নাকের কাছে রুমাল ধরে কেউ একজন তোমাকে অজ্ঞান করে ফেললো। তুমি হালকা আঁচ করেতে পারবে কিন্তু কিছু বলতে পারবে না। যখন তোমার জ্ঞান ফিরবে তুমি নিজেকে আবিষ্কার করবে একটা ভাসমান নৌকায়। তুমি চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে তাকাবে আর ভাববে এ তুমি কোথায় এলে কীভাবে এলে! এরকম সুসজ্জিত নৌকা তো তুমি আগে দেখো নি। একটি খালি নৌকায় হৃদের মাঝখানে তুমি একা। কি ভয়ানক ব্যাপার তাই না বলো!

পরক্ষণেই দেখবে তোমার দিকে ধেয়ে আসছে অন্য একটা নৌকা। তুমি চিনতে পারছো না কে আসছে। চিন্তায় তোমার হাত পা শুকিয়ে যাচ্ছে। ঠিক যখন তোমার নৌকা বরাবর এসে ভিড়বে তখন বুঝতে পারবে এটা সেই শয়তান ছেলেটা যে তোমাকে কতগুলো চিঠি লিখেছে। হলফ করে বলতে পারি সেই শয়তান ছেলেটা আমিই। কারণ অন্য কেউ তোমাকে নিয়ে এভাবে চিঠি লিখতে পারে না। তুমি আমায় চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে চাইবে। তোমার আইটেম তোমার ক্লাস মিস করার মত দুঃসাহস আমি দেখলাম। এমনিতেই তোমাকে ভালোবেসে পৃথিবীর সবচেয়ে অপরাধী ব্যক্তি হিসেবে খাতায় নাম লিখিয়েছি বহু আগে।

তোমায় হাত ধরে আমার নৌকায় নিয়ে আসবো যেটাতে সাজানো থাকবে তোমার জন্মদিনের কেক, কিছু ক্যাণ্ডেল, তোমার জন্মদিনের উপহার হিসেবে - মগে ড্রয়িং করা তোমার ছবি এবং হাতে আঁকা একটা পোট্রেইট আরো নানা জিনিস। এসব আয়োজন দেখে তোমার চোখ ছানাবড়া হবে আমার ধারণা। যদি তখনও রাগ না কবে তবে মহারানীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো।

তুমি ভাসমান নৌকায় কেক কাটবে। তুমি হয়ত অনুভব করতে পারবে না নৌকার সাথে সাথে আমার মনের মধ্যেও তখন ভালোবাসার ঢেউ খেলা করবে। তোমার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস দেখে দেখে আমি পুলকিত হবো। এটা দেখে দেখে আরো একশো বছর বাঁচার শক্তি পাবো। তোমার জন্মদিনে এরকম একটা সারপ্রাইজ যদি তোমাকে দিই তুমি কি সত্যি রাগ করে থাকবে নাকি আমায় ক্ষমা করে দেবে শ্রাবণ?

- রেবা
15-08-2017

Sunday, August 13, 2017

শ্রাবণপত্র 3

He prayeth best, who loveth best.

কেমন আছো শ্রাবণ?
নিশ্চয়ই ভালো কিংবা কিঞ্চিৎ খারাপ। বেশি খারাপ থাকার মত তোমার কিছু হয় নি হয়ত। আজকাল আমার আর ভালো থাকা হয় না। তোমাকে এ পর্যন্ত 43 টা মেসেজ করছি একটা ফিরতি মেসেজও পাই নি। পাবো না জেনেও আমি করি, আমার প্রত্যেকটি এসএমএস তোমার সাথে সেতুবন্ধন মনে হয়। তুমি হয়ত রেগে সেটাকে ট্রাশ বক্সে ফেলে রাখো। তুমি তো কখনো আমার খোঁজও নিবে না, হয়ত মারা গেলে এক বছর পরে শুনবে আমি নেই। একটা দীর্ঘশ্বাসে পুুরনো সবকিছু হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়ে দিব্যি ভালো হয়ে বেঁচে থাকবে। তোমার ভালো থাকা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই।

জানো, তোমাকে ভাবলে নিজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ মানুষ হিসবে আবিষ্কার করি। তোমায় কথা ভাবলে যেকোন কোন খারাপ আমাকে স্পর্শ করতে পারে না। আমি তোমার সাথে কখনো মিথ্যে না বলার শপপ নিয়েছিলাম। আজও সেটা ভাঙ্গি নি।

তোমাকে পেলে আর কখনো কিছু চেয়ে ঈশ্বরকে বিরক্ত করবো না। এক জীবনে আমার একটা চাওয়া কি ঈশ্বর পূর্ণ করবে না? যে আমি সবাইকে বিভিন্ন টিপস দিয়ে বেড়াতাম, আমার কবিতা আমার লেখা মানুষ তার ভালোবাসার মানুষদের পাঠিয়ে ভালোবাসার চর্চা করত সে আমার আজ কতগুলো লোকের দারস্থ হতে হয়েছে একটু স্বান্তনা একটু পরামর্শের জন্য। সবাই আমাকে স্বান্তনা দিচ্ছে, বিশ্বাস রাখতে বলছে ভালোবাসায়। আমি বিশ্বাস রেখেছি আমার ঈশ্বরে, বিশ্বাস রেখেছি আমার ভালোবাসায়।

- রেবা

শ্রাবণপত্র 2

শুধু তোমায় একবার ছোঁব
এই আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন!

আমার ভালোবাসা দিনদিন ক্ষ্যাপাটে হয়ে ওঠেছে। ভালোবাসা তো নদী নয় যে বাঁধে আটকে রাখব, কোন দেশ নয় যে মাঝখানে প্রাচীর দিয়ে দিবো নয় কোন নষ্ট উম্মাদনা যেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিবো। আমার ভেতরে ডালপালা গজিয়ে ভালোবাসারা দিব্যি বিশাল আমাজন তেরি করে ফেলেছে। তোমার উপেক্ষা আমার ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ, তোমার নীরবতা আমার ভেতরটাকে সরব করে তোলে টর্নেডোর মতো। আমার ভোর হয় তোমার কথা ভেবে, আমার রাত হয় তোমার কথা ভেবে, আমার নিদ্রা আসে সেও তোমার কথা ভেবে। রোজ রাতে আমি তোমায় চুমু খেয়ে ঘুমুতে যাই। রোজ সকালে তোমায় শুভ সকালের বার্তা পাঠাই। আচ্ছা, তুমি তোমার ছবিতে চুমু খাওয়ার দায়ে আমার নামে কি মামলা ঠুকে দিবে? করো গে, আমি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলবো… মহামান্য আদালত, আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে আমি চুমু খেয়েছি। আদালত আমায় পাল্টা জবাব দেবে তোমার চিঠিতেই তো তুমি সেকথা স্বীকার করলে। আমি তখন বলব আমার সব চিঠির পরতে পরতে যে ভালোবাসার কথা বললাম সেটা আমার মহারানী কেন বিশ্বাস করে না কেবল এটাই বিশ্বাস করল! যাক গে সেসব কথা…

তোমার জড়িয়ে ধরার কথা ভাবতেই আমি পৃথিবীতে স্বর্গ সুখ অনুভব করি। গ্রীষ্মের রৌদ্রের মাঠেও আমার শরীর শীতল হয়ে যায়। আমি অন্য কোন স্বর্গ চাই না হে ঈশ্বর কেবল আমার কল্পনার স্বর্গটাকে সত্যি করে দাও।


  • রেবা

Wednesday, August 9, 2017

শ্রাবণপত্র 1

কি ভাবছো? তোমার এত উপেক্ষা, এত অবজ্ঞা, এত অবহেলা সত্যেও কেন আমি দূরে সরে যাচ্ছি না। আমাকে আরো নত হতে দাও, বিনয়ী হতে দাও। ভালোবাসা যেখানে গভীর নত হওয়া সেখানে গৌরবের।

আমি তোমাকে কখনো হারাতে চাই না শ্রাবণ। কোন কিছুর বিনিময়েও না। কখনো কাউকে ভালোবাসলে বুঝতে তার পৃথিবী কেমন কেন্দ্রীভূত হয়ে যায় একটি বিন্দুতে, তার জীবন বৃত্ত ঘুরতে থাকে একজনকে কেন্দ্র করেই, তার নিউরনে প্রবাহিত হয় ভালোবাসার শীতল স্রোতধারা। তুমি যদি আমার জায়গায় হতে তুমি কি করতে জানি না কিন্তু আমি ক্ষণে ক্ষণে নিজেকে আটকে রাখি। চাইলেন হুট করে কেঁদে ফেলতে পারি না ছেলে হওয়ার অপরাধে। তুমি কখনোই আমার সত্যিকারের ফিলিংসটা বুঝতে চাও নি। আচ্ছা, আমি কি কোন অপরাধ করে ফেললাম? কারো প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করা কি ঘোরতর কোন অপরাধ? 

উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম...

Saturday, January 28, 2017

LAGA

কোন এক ভাইভাতে স্যার আমাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি বল LAGA কি? আমি মনে মনে ভাবলাম ‘লাগা“ কেন জিজ্ঞেস করতেছে। ইন্ডিয়ান দেবের খোকাবাবু মুভিতে শুনেছি ... ‘এই লাগা লাগা লাগা লাগা পেয়ার কা ঝাটকা....।’ স্যার কি এই গানের কথা জানতে চাইছে! নাহ এসব তো সিলেবাসের বাইরের জিনিস, তবে কি জানতে চাইছে। খিচ মাইরা বইসা রইলাম। কবি বলেছে ভুলভাল বলার চেয়ে খিচ মেরে বসে থাকা উত্তম।

কিছুক্ষণ পর স্যার উত্তর বলে দিছে আর আমি ততটাই বোকা এবং অবাক হলাম যতটা কোন সুন্দরী মেয়ে ভরা মজলিসে জোর করে ধরে কিস করে দিলে হতাম। স্যার বলল, LAGA মানে Local Anaesthesia, General Anaesthesia(LAGA)। স্যার অলাদা করে বললে কোন সমস্যাই হত না। স্যার দুটোকে একসাথে লাগিয়ে ‘লাগা’ বানিয়ে আমার মাথায় জ্যাম লাগিয়ে দিয়েছেন।
..আহা, ভাইভা!
 
- রাজীব নন্দী

নিষিদ্ধ দ্বিপদী

অমর একুশে বইমেলা ২০১৭ তে পরিবার প্রকাশনী থেকে আসছে রাজীব নন্দী’র প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নিষিদ্ধ দ্বিপদী’। পরিবার প্রকাশনীর ৩৪৭ নাম্বার স্টলে মেলার প্রথম দিন থেকেই পাওয়া যাবে বইটি। বিস্তারিত জানতে ভিসিট করুন লেকক রাজীব নন্দীর ফেসবুক ওয়াল।