- মানুষের উপকার করলে বিপদ আসে। এক বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড ওর সাথে ঝগড়া করে বসে বসে কাঁদতেছে, তা দেখে আমি চোখের জল মুছে দিতে গেলাম আর অমনি বন্ধু রেগে গেল। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- বিয়ে বাড়িতে এক লোকের খেতে খেতে খাবার গলায় আটকে যাওয়া অবস্থা। তো এসব খেতে ওনার কষ্ট হবে ভেবে রোস্টটা আমার প্লেটে তুলে নিলাম। অমনি উনি চোখ বড় বড় করে ইংলিশে কী যেন বলে উঠল। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- ব্যাংকে এক লোক দেখলাম একই টাকা বারবার গুনতেছে। ভাবলাম উনি হয়তো গুনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলে, গিয়ে গুনে দিই। টাকাটা টেনে আমার হাতে আনতে যাব অমনিই চিৎকার করে উঠলো। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- এক মেয়ে অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তা পাড় হতে পারছে না। আমি গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে তার হাত ধরে বললাম এবার আমার সাথে আসেন, এই হাতে যাকে একবার ধরে তার আর কোনো ভয় নেই। অমনিই ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- পাশের ফ্লাটের আন্টি ঝগড়া করে প্রায়ই আংকেলকে বলে, তোমাকে বিয়ে করা আমার জীবনের চরম ভুল হইছে। এটা শুনে একদিন সাহস করে আন্টির পক্ষ নিয়ে বলেই ফেললাম, তাহলে ছেড়ে দেন না কেন এই টাকলু ভুঁড়িওয়ালা মোটকাটাকে। ওমা, এটা বলতেই আন্টি নিজের পায়ের সেন্ডেল খুলে মারলো আমার দিকে। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- এক মেয়ে সেদিন, Feeling alone লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল। ভাবলাম, সেও একা আমিও একা তবে গিয়ে ইনবক্সে করি একটু দেখা। তার আগে কমেন্ট করে নজরে আসি। কমেন্ট করলাম, মি টু। সাথে সাথেই ওর বয়ফ্রেন্ড এসে রিপ্লাই দিল, অন্যের গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফ্লার্ট না করে নিজের কাজে মন দেন। এ কী কারবার, কিচ্ছু বুঝলাম না।
- তো, আমার সাথে যখন ক্রমাগত এসব ঘটে যাচ্ছে, যখন কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন সিদ্ধান্ত নিলাম আর কারো ধারে কাছেও যাবো না। নিজের মতো একাকি থাকবো। লোকাল বাসে এক মেয়ে বারবার এক্সকিউজ মি, এক্সকিউজ মি ভাইয়া বলে যাচ্ছে, আমি ফিরেও তাকাই না। সে হঠাৎ জামার কলার ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, ঐ শালারপুত জুতার উপর পারা দিছোস, জুতা ছাড়। আমি চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছি। তখনও কিচ্ছু বুঝলাম না।
~ কিচ্ছু বুঝলাম না
©রাজীব নন্দী
বিচ্ছু || যুগান্তর
৩০-০৬-২০১৯
- বিয়ে বাড়িতে এক লোকের খেতে খেতে খাবার গলায় আটকে যাওয়া অবস্থা। তো এসব খেতে ওনার কষ্ট হবে ভেবে রোস্টটা আমার প্লেটে তুলে নিলাম। অমনি উনি চোখ বড় বড় করে ইংলিশে কী যেন বলে উঠল। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- ব্যাংকে এক লোক দেখলাম একই টাকা বারবার গুনতেছে। ভাবলাম উনি হয়তো গুনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলে, গিয়ে গুনে দিই। টাকাটা টেনে আমার হাতে আনতে যাব অমনিই চিৎকার করে উঠলো। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- এক মেয়ে অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তা পাড় হতে পারছে না। আমি গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে তার হাত ধরে বললাম এবার আমার সাথে আসেন, এই হাতে যাকে একবার ধরে তার আর কোনো ভয় নেই। অমনিই ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- পাশের ফ্লাটের আন্টি ঝগড়া করে প্রায়ই আংকেলকে বলে, তোমাকে বিয়ে করা আমার জীবনের চরম ভুল হইছে। এটা শুনে একদিন সাহস করে আন্টির পক্ষ নিয়ে বলেই ফেললাম, তাহলে ছেড়ে দেন না কেন এই টাকলু ভুঁড়িওয়ালা মোটকাটাকে। ওমা, এটা বলতেই আন্টি নিজের পায়ের সেন্ডেল খুলে মারলো আমার দিকে। কিচ্ছু বুঝলাম না।
- এক মেয়ে সেদিন, Feeling alone লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল। ভাবলাম, সেও একা আমিও একা তবে গিয়ে ইনবক্সে করি একটু দেখা। তার আগে কমেন্ট করে নজরে আসি। কমেন্ট করলাম, মি টু। সাথে সাথেই ওর বয়ফ্রেন্ড এসে রিপ্লাই দিল, অন্যের গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফ্লার্ট না করে নিজের কাজে মন দেন। এ কী কারবার, কিচ্ছু বুঝলাম না।
- তো, আমার সাথে যখন ক্রমাগত এসব ঘটে যাচ্ছে, যখন কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন সিদ্ধান্ত নিলাম আর কারো ধারে কাছেও যাবো না। নিজের মতো একাকি থাকবো। লোকাল বাসে এক মেয়ে বারবার এক্সকিউজ মি, এক্সকিউজ মি ভাইয়া বলে যাচ্ছে, আমি ফিরেও তাকাই না। সে হঠাৎ জামার কলার ধরে চিৎকার দিয়ে বলল, ঐ শালারপুত জুতার উপর পারা দিছোস, জুতা ছাড়। আমি চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছি। তখনও কিচ্ছু বুঝলাম না।
~ কিচ্ছু বুঝলাম না
©রাজীব নন্দী
বিচ্ছু || যুগান্তর
৩০-০৬-২০১৯
No comments:
Post a Comment