- হ্যালো, কি? 4.83? ওর ভাত বন্ধ দুপুর থেকে। ওরে বলে দেও যেন যেদিকে মন চায় বের হয়ে যায়। আমি আসতেছি..... অপদার্থ যতসব।
বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে বসের রুমে গেলেন লিখন সাহেব। স্যার, আপনাকে সেদিন বলেছিলাম না যে আজ আমার আর্জেন্ট যেতে হতে পারে এক জায়গায়। আমার এখনি যেতে হবে।
আচ্ছা আচ্ছা। ঠিকাছে যান।
অফিস থেকে বের হয়ে একটা দোকানে । বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই ভেবে রেখেছিলেন এ দোকানে ঢুকবেন। তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে বাড়ির বাস ধরলেন।
ক্রিং ক্রিং......
দরজায় খুলতেই উচ্চস্বরে চেঁচামেচি। কই গাধাটা কই? ওকে ভাত দিয়েছ দুপুরে? বের হয় নাই এখনো?
কি হইছে? কোনদিন তো ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে নাক গলাতে শুনি নি। আজ এত হট কেন! আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন মিসেস লিখন।
কি হইছে মানে! তুমি জানো না কি করছে ও। এখানে নিয়ে আসো তোমার গুনধর ছেলেকে। ওর গালটা আমার হাতের কাছে এনে দাও। অফিস থেকে চলে আসছি কি এমনি এমনি!
ছেলেকে সামনে এনে দাঁড় করালেন। মাথা নিচু হয়ে হাঁটু কাপা অবস্থা তার। জিপিএ ফাইভ পায় নি বলে তার বাবা এমন করবে ভাবতেও পারে নি সে। পড়াশোনা তো কম করে নি, তার কি দোষ!
কি খবর নেতা আপনার? মাথা নিচু কেন? মাথা উঁচু করেন।
মাথা তুলতেই ব্যাগ থেকে বের করে দিলেন সদ্য কেনা গিফটগুলো।
মুহূর্তেই থ হয়ে গেলেন মা ও ছেলে। কিছুই বুঝতে পারলেন না কি হল।
ছেলেকে বুকে টেনে নিলেন লিখন সাহেব। বাচ্চা তুই মাথা উঁচু করে থাকবি। অনেক ভালো রেজাল্ট করেছিস। আর বাবাকে কেউ ভয় পায় বোকা! আমি তো তোর বন্ধুর মতই। আসো আমরা একসাথে খাবো বলে তোমাকে খেতে দিতে না করেছি। ঐ তুমি কেমন মা, ছেলেটাকে একটু আদর করো না পাশ করার পরও।
তুমি যে কি আমি আজও চিনতে পারলাম না গো। গলায় বিস্ময় মেখে বললেন মিসেস।
হে হে এই লিখনকে চেনা এত সহজ না।
বলেই মাথা চুলকাতে চুলকাতে বসের রুমে গেলেন লিখন সাহেব। স্যার, আপনাকে সেদিন বলেছিলাম না যে আজ আমার আর্জেন্ট যেতে হতে পারে এক জায়গায়। আমার এখনি যেতে হবে।
আচ্ছা আচ্ছা। ঠিকাছে যান।
অফিস থেকে বের হয়ে একটা দোকানে । বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই ভেবে রেখেছিলেন এ দোকানে ঢুকবেন। তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে বাড়ির বাস ধরলেন।
ক্রিং ক্রিং......
দরজায় খুলতেই উচ্চস্বরে চেঁচামেচি। কই গাধাটা কই? ওকে ভাত দিয়েছ দুপুরে? বের হয় নাই এখনো?
কি হইছে? কোনদিন তো ছেলের পড়াশোনার ব্যাপারে নাক গলাতে শুনি নি। আজ এত হট কেন! আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন মিসেস লিখন।
কি হইছে মানে! তুমি জানো না কি করছে ও। এখানে নিয়ে আসো তোমার গুনধর ছেলেকে। ওর গালটা আমার হাতের কাছে এনে দাও। অফিস থেকে চলে আসছি কি এমনি এমনি!
ছেলেকে সামনে এনে দাঁড় করালেন। মাথা নিচু হয়ে হাঁটু কাপা অবস্থা তার। জিপিএ ফাইভ পায় নি বলে তার বাবা এমন করবে ভাবতেও পারে নি সে। পড়াশোনা তো কম করে নি, তার কি দোষ!
কি খবর নেতা আপনার? মাথা নিচু কেন? মাথা উঁচু করেন।
মাথা তুলতেই ব্যাগ থেকে বের করে দিলেন সদ্য কেনা গিফটগুলো।
মুহূর্তেই থ হয়ে গেলেন মা ও ছেলে। কিছুই বুঝতে পারলেন না কি হল।
ছেলেকে বুকে টেনে নিলেন লিখন সাহেব। বাচ্চা তুই মাথা উঁচু করে থাকবি। অনেক ভালো রেজাল্ট করেছিস। আর বাবাকে কেউ ভয় পায় বোকা! আমি তো তোর বন্ধুর মতই। আসো আমরা একসাথে খাবো বলে তোমাকে খেতে দিতে না করেছি। ঐ তুমি কেমন মা, ছেলেটাকে একটু আদর করো না পাশ করার পরও।
তুমি যে কি আমি আজও চিনতে পারলাম না গো। গলায় বিস্ময় মেখে বললেন মিসেস।
হে হে এই লিখনকে চেনা এত সহজ না।