কুত্তার বাচ্চা, **কির বাচ্ছা, **র বাচ্চা টাইপ গালিগুলো আমাদের কাছে খুব পরিচিতি শব্দ। পাড়ার আপ টু বটম যে কোন পাবলিক জীবনে একবার হলেও এসব ব্যবহার করেছে এবং বহুবার শুনেছে। কারো কারো কাছে তো এসব এতই প্রিয় শব্দ যে প্রতিটা কথায় ব্যবহার করেন অহরহ।
না গালি অভিধানে যাচ্ছি না, বিষয়টা হল যে অপরাধ করছে তাকে কিন্তু এই টাইপ গালিতে কিছুই বলা হচ্ছে না সব তার বাবা মায়ের উপর দিয়ে যাচ্ছে। সন্তানের অপরাধে বাবা মাকে অপরাধী করা হচ্ছে। তবে বাবা মায়ের অপরাধে কি সন্তান অপরাধী হবে না? ধরুন একজন ধর্ষকের সন্তান সেও কি রাষ্ট্রের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবে?
আমরা জানি, কেউ অপরাধী জন্ম দেয় না, পৃথিবীর সকল শিশুই নিষ্পাপ। এমনকি যাকে আমাদের সমাজ বেশ্যার ছেলে বলে আখ্যা দেয় কিংবা বিবাহ বহির্ভূত যে সন্তান জন্ম নেয় সেও ফুলের মতই নিষ্পাপ হয়েই জন্মে।
কিন্তু সে বেশ্যার ছেলে বলে কখন লজ্জা পেতে কিংবা শুরু করবে কিংবা অসম্মানিত বোধ করবে? যখন বুঝতে পারবে যে সমাজ তার মাকে খারাপ ভাবছে। তেমনি ধর্ষকের সন্তানও তখনই লজ্জা পেতে শুরু করবে সমাজের কাছে যখন জানবে যে তার বাবা একজন রেপিস্ট ছিল। এবং রেপ করা ঘৃনিত অপরাধ।
আর বাবা যদি রাষ্ট্রদোহী হয় তবে? সে সন্তানও কি রাষ্ট্রদোহী? সে সন্তানের সম্যক জ্ঞান হওয়ার পরও কিংবা তার বাবার রাষ্ট্রদোহীর কাহিনি জানার পরও সেটাকে জায়েজ করার জন্য প্রচারণা চালায় তবে সেটা রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক ঘটনা নিশ্চয়ই।
আর সে যদি বাবার অপরাধের জন্য ক্ষমা চায় রাষ্ট্রের কাছে তবে? তবে নিশ্চয়ই তাকে রাষ্ট্রদোহী আখ্যা দেয়া যায় না কারণ সে আলাদা মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার, ভালোবাসার ঘৃনা করার স্বাধীনতা থাকতেই পারে।
দেখলাম দেশের বিশিষ্ট এক সাংবাদিক বললেন, বাবার অপরাধে ছেলেকে অপরাধী ভাবা ঠিক না। সাথে একটু ধর্ম নামক মশলা যোগ করে সেটাতে পাবলিক এট্রাকশন বাড়ানোর পলিটিক্সও বাদ দেন নাই। বাবার অপরাধের জন্য ছেলে ক্ষমা চেয়েছে কখনো? নাকি উল্টো বাবার এজেন্ডাকে জায়েজ করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছেন? হায় সেলুকাস আমাদের বিশাল বিশাল সাংঘাতিক এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ। পেমেন্ট পায় তো ঠিকঠাক নাকি ভাই ভাই হিসেবে গায় মুখে খেটে দিচ্ছেন?
No comments:
Post a Comment