গতরাতে লঞ্চে বরিশাল থেকে ঢাকা আসার সময় মোশাররফ করিমের একটা নাটক খুুব
মনোযোগ দিয়ে দেখেছিলাম। নূরে আলম। জ্যোতিষী এই নূরে আলমের হাত দেখে
বলেছিল, সামনের জৈষ্ঠ্য মাসের এক তারিখ তার সাথে সময়ের ব্যস্ততম অভিনেত্রী
নায়িকা অপি করিমের বিয়ে হবে। সে জাস্ট অপি করিমকে গিয়ে বললেই হবে, "হে অপি
করিম আমি তোমার হবু স্বামী নূরে আলম তোমাকে বিয়ে করার জন্য চলে আসছি।" অপি
করিম তাতেই রাজি হয়ে যাবে।
বেচারা নূরে আলমের সাদা মনে কাদা নাই। প্রথমে সিনেমা হলে গেলেন। সেখানকার লোকজন বললেন, অপি করিম এফডিসিতে থাকেন। এলেন এফডিসি। তাকে দাড়োয়ার ঢুকতেই দিচ্ছে না। বহু কষ্টে অপি করিমের বাসার ঠিকানা খুঁজে বাসায় এলেন হাতে ফুলের তোড়া আর গিফট নিয়ে। তার সরল বিশ্বাসে কেনা সে ফুলের তোড়া দাড়োয়ার ছুঁড়ে ফেলে দিলেন রাস্তায়।
বেচারা নূরে আলমের সাদা মনে কাদা নাই। প্রথমে সিনেমা হলে গেলেন। সেখানকার লোকজন বললেন, অপি করিম এফডিসিতে থাকেন। এলেন এফডিসি। তাকে দাড়োয়ার ঢুকতেই দিচ্ছে না। বহু কষ্টে অপি করিমের বাসার ঠিকানা খুঁজে বাসায় এলেন হাতে ফুলের তোড়া আর গিফট নিয়ে। তার সরল বিশ্বাসে কেনা সে ফুলের তোড়া দাড়োয়ার ছুঁড়ে ফেলে দিলেন রাস্তায়।
নূরে আলম নাছোড়বান্দা। জ্যোতিষী বলেছে মানে এটা সত্যি। অপি করিমের বাসার
সামনে ব্যানার টানিয়ে সেখানে লিখে রাখলেন, ‘অপি করিম, আমি নূরে আলম তোমার
স্বামী। তোমাকে বিয়ে করার জন্য চলে এসেছি। সে ব্যানারও ভস্ম হয়ে গেল
দিয়াশলাইয়ের আগুনে। পুলিশ দুবার অ্যারেস্ট করে নিল তবুও কাজ হল না। সবাই
মোটামুটি ভেবে নিয়েছে সে পাগল।
তারপর অপি করিমের বাসার সামনে অনশন শুরু করলেন। বৃষ্টিও তাকে বাসার গেটের সামনে থেকে সরাতে পারে নি। অবশেষে অপি করিমের মনে হল তারসাথে কথা বলা দরকার। তাকে ভেতরে ডাকলেন। তিনি যে বিবাহিত এবং জ্যোতিষী যে তাকে মিথ্যে বলেছে এটা বুঝিয়ে বললেন নূরে আলমকে। বিশ্বাসের ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়া নূরে আলম কাঁদো কাঁদো চোখে বাসা থেকে আনা রুমালে প্যাঁচানো আংটিটা বের করে অপির হাতে দিয়ে প্রস্থান করলেন।
নূরে আলমের এই আবেগ, এতো অনুভূতি কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারে নি। কেবল সেই নূরে আলমের মৃত্যু সংবাদ অপি করিমকে ছুৃঁতে পেরেছে। তার মনে হয়েছে তিনি অপরাধী। তবে কি স্রেফ ভালোবেসেই কাউকে আপরাধী করা যায়?
আমাদের হয়তো কোনো জ্যোতিষী না বলে দিলেও সবার জীবনেই বোধহয় একজন অপি করিম থাকে যাকে পাওয়ার জন্য আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। পৃথিবীর সব নিয়মকে উপেক্ষা করে আমাদের ভেতরের নূরে আলম নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের জীবনটা ক্যামেরার সামনে রোল করা ফিল্ম নয়, তাই আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। কেবল নীরবে ভালোবাসার মানুষটাকে ভেতরে ধারণ করতে পারি। এটাই বা কম কী!
- রাজীব নন্দী
৪-৭-২০১৮
তারপর অপি করিমের বাসার সামনে অনশন শুরু করলেন। বৃষ্টিও তাকে বাসার গেটের সামনে থেকে সরাতে পারে নি। অবশেষে অপি করিমের মনে হল তারসাথে কথা বলা দরকার। তাকে ভেতরে ডাকলেন। তিনি যে বিবাহিত এবং জ্যোতিষী যে তাকে মিথ্যে বলেছে এটা বুঝিয়ে বললেন নূরে আলমকে। বিশ্বাসের ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়া নূরে আলম কাঁদো কাঁদো চোখে বাসা থেকে আনা রুমালে প্যাঁচানো আংটিটা বের করে অপির হাতে দিয়ে প্রস্থান করলেন।
নূরে আলমের এই আবেগ, এতো অনুভূতি কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারে নি। কেবল সেই নূরে আলমের মৃত্যু সংবাদ অপি করিমকে ছুৃঁতে পেরেছে। তার মনে হয়েছে তিনি অপরাধী। তবে কি স্রেফ ভালোবেসেই কাউকে আপরাধী করা যায়?
আমাদের হয়তো কোনো জ্যোতিষী না বলে দিলেও সবার জীবনেই বোধহয় একজন অপি করিম থাকে যাকে পাওয়ার জন্য আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। পৃথিবীর সব নিয়মকে উপেক্ষা করে আমাদের ভেতরের নূরে আলম নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের জীবনটা ক্যামেরার সামনে রোল করা ফিল্ম নয়, তাই আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। কেবল নীরবে ভালোবাসার মানুষটাকে ভেতরে ধারণ করতে পারি। এটাই বা কম কী!
- রাজীব নন্দী
৪-৭-২০১৮
No comments:
Post a Comment