পরী,
....জানি একদিন তুমি বুড়ি হবে। তোমার যে মোহনীয়তা আমার মাদকতার
মাত্রা ছাড়িয়ে দিত তা প্রকৃতি গ্রাস করে নেবে। তোমার থুতনীতে ভাঁজে ভাঁজে
হয়ত কত আফসোস ভেসে উঠবে। তোমার হাসির ঝরনাধারা শুকিয়ে যাবে, যে চোখে আমি
নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম বেঘোরে সেখানে হয়তো মোটা ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে পিটপিট
করে দেখতে চাইবে। যে হাতে নিজের ভালোবাসা মিশ্রিত আঙ্গুল গুঁজে দিতে
চেয়েছিলাম সেখানে আঁকড়ে ধরবে নির্জীব লাঠি।
.
তোমার স্বামীকে আমি আমার একজনমের শত্রুর খাতায় নাম লেখাব। কি সৌভাগ্য পুরুষটার। যেই তোমাকে আমি
ভালোবাসার চাঁদরে আগলে রাখতে চেয়েছি, যেই তোমাকে আমি আমার এক বিছানার
সঙ্গী হিসেবে চেয়েছি, যেই তোমাকে নিয়ে ভেবে ভেবে মাথার চুল ছিঁড়েছি চারআনা,
সেই তোমাকে এসে টুপ করে হাত ধরে বসবে।
.
ভাবছো তোমায় কেন
'ভালোবাসি' বলি না? কত ছেলে উম্মাদ হয়ে তোমায় এই শব্দ বলেছে সে পরিসংখ্যান
সহজেই অনুমেয় আমার। আমি তো সে কাতারে নাম লিখাতে চাই নি। আমি চেয়েছি
রবীন্দ্র উপন্যাসের মত তুমি আমায় পড়ে পড়ে গভীরে যেতে চাইবে, শরৎ উপন্যাসের
মত আগ্রহ ধরে রাখবে আমার প্রতি কিন্তু না তুমি হেলাল হাফিজের কষ্টকেই বেছে
নিলে আমার জন্য। তোমার পছন্দ আছে ঢের। সেটা কি করে উপেক্ষা করি বলো!
.
হয়ত সুখে থাকবে হঠাৎ করে চিনে ফেলা পুরুষটার পৃথিবীতে। দমকা হাওয়ার
পিদিমের মত আমার নতুন ভাবনারাও নিভে যেতে যেতে হয়ত বেঁচে থাকবে। আবার নতুন
করে সেই সলতেয় আগুন জ্বলবে, চারদিক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আমার পৃথিবীর। কেবল
পিদিমের নিচে যে অন্ধকারটা রয়ে যাবে সেটাকে চাইলেও সরাতে পারবো না, কিছুতেই
না।
.
আমি
অব্যক্ত প্রেমিক।
(পরীকে লেখা প্রেম পত্র-১)
No comments:
Post a Comment