এক গবেষণায় দেখা গেছে - “এ দেশে যত নেতা আছে তত জনসংখ্যাও নাই!”
আনাচে
কানাচে, কোনায় কাঞ্চিতে, চিপায় চাপায় খাটের তলায় সবখানে নেতার ছড়াছড়ি।
রাস্তায় বের হবেন পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে থাকবে নেতাদের মুখ। ইয়া বড় বড়
ব্যানারের নিচে নন ভোটার বস্তিবাসী কিংবা বাস্তুহারা লোকজন মাঝে মাঝে আশ্রয়
নিয়ে হয়ত নেতাদের এক গাল আশীর্বাদও করে দেন! আগে প্রথম দেখায় লোকজনের নাম
জিজ্ঞেস করত, তারপর জিজ্ঞেস করত ফেসবুক আইডি, এখন জিজ্ঞেস করে কোন পদে
আছেন! প্রতিদিন যত নেতা গজায় তত বাচ্চাও নাকি পয়দা হয় না বলে আদমশুমারী
জানিয়েছে। লোকাল বাসে বসলে পাশে বসা লোকটাকে গেজ করার চেষ্টা করি, উনি
কিসের নেতা হতে পারেন। মাঝে মাঝে পিচ্চি বাচ্চা হেলপারদের ধমক টমক দিয়ে
নিজেই বুঝিয়ে দেন উনার পদ কত বড়!
কীভাবে চিনব কে নেতা আর কে
নেতা না? রিকশায় উঠেও ভয়ে থাকি উনি আবার রিকশা চালক সমিতির কোন বড় পদের
নেতা টেতা হন কিনা খোদাই জানে! পাবলিক টয়লেটে হিসু করতে গিয়ে ভাবি উনি হয়ত
জাতীয় পাবলিক টয়লেট সমিতির সভাপতি-টতিও হতে পারেন। কিন্ডার গার্টেনের সামনে
গিয়েও আমি খুঁজি কিন্ডার গার্টেন ছাত্রনেতাদের কোন পোস্টার মোস্টার পাই
কিনা! কোথাও নেতামুক্ত পরিবেশ পাই না। কোন কবি যেন কবিগান ধরেছিলেন, "নেতা
বাড়ছে রে বাড়ছে রে বাংলায়, পিঁপড়ার মত বাড়ছে নেতা বাস (বাঁশ) করে বাংলায়,
নেতা বাড়ছে রে।....!"
তো জাতি এত নেতা দিয়ে কি করবে জাতি নিজেও
জানে না। গুগল খুঁজেও যেখানে একজন আমজনতা পাওয়া ভার সেখানে উন্নয়ন কে
ঠেকায়। তো নেতার বৈশিষ্ট্য কি? না নেতাদের কোন বৈশিষ্ট্য নেই। তারা যা করবে
সেটাই জোস সেটাই নেতামি। কখনো কখনো দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও উজ্জ্বল
দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে নেতাবৃন্দের। সব নেতা মিলে যদি জাতীয় নেতা সমিতি গঠন করে
দেখা যাবে সতের কোটি পদ হয়ে গেছে। গিনেস বুকে নাম উঠে গেছে আমাদের।
বিদেশিরা ভয়ে কাচুমাচু করতেছে নেতা সমুদ্রের জোয়ার দেখে। কি সুন্দর দৃশ্য
হত তাই না?
কবি কলমের খোঁচায় কালি নষ্ট করে এমনি এমনিতো বলে যান নাই...
"এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
আনাচে কানাচে নেতা সবাই নেতার উর্বর ভূমি।"
নেতা বিত্তান্ত
No comments:
Post a Comment