Tuesday, May 15, 2018

বিড়াল গল্পের প্রতিক্রিয়া

....প্রাতঃকালে পেটানন্দের লাগিয়া মুড়ি চানাচুর মাখিয়া লইলাম। অর্ধেক ভিতরে চালান করিবার পর বুকসেল্ফ নাড়িতে চাড়িতে বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত 'বিড়াল' গল্প সামনে আসিয়া হাজির হইলো।
বিড়াল গল্পে মুখ ডুবাইয়া পড়িতে পড়িতে হঠাৎ খেয়াল করিলাম সাদা-কালো বিড়ালটা আমার মুড়ির বাটিতে মুখ ডুবাইবার চেষ্টা করিতেছে। আমি চোখ ফিরাইয়া কিছু বলিতে উদ্যত হইবো এমন সময় এন্টেনায় খেলিয়া গেল, এই খাবারে আমার যতটুকু অধিকার রহিয়াছে ঐ বিড়ালটারও ততটুকু অধিকার রহিয়াছে। আমি মোটা গতরের মনুষ্য বলিয়া ওর অধিকার অস্বীকার করাটা বড়ই অনুচিত কার্য হইবে।
ঠোঁটে ঠোঁট চাপিয়া কোনো রকম ভেংচি না কাটিয়া নীরবে ঐ মুড়ির অধিকার ছাড়িয়া বঙ্কিমে মন দিলাম। আর মনে মনে বলিলাম, খা বিড়াল খা। অন্তত তোকে না খাইতে দিলে বঙ্কিমচন্দ্রের এই বিড়াল গল্প লেখাটাই যে সময় নষ্ট বলিয়া ইতিহাস সাক্ষী হইয়া থাকিবে।
খানিক বাদেই মুখ তুলিলাম। বিড়াল আমার পানে তাকাইয়া মুখ ভেংচি কাটিয়া এক পিস মুড়িও না খাইয়া বলিয়া উঠিল, আমি তোর মতো দুর্ভিক্ষ পীড়িত নহে যে মুড়ি খাইবো, হু।
পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর। সে পৃথিবীর মানব হিসেবে আমার ভাগ্য আরো নিষ্ঠুরতা সহ্য করিয়া যাইতেছে। ইহা নতুন কিছু নহে। যাহাকেই প্রাণ খুলিয়া ভালোবাসা বিলাইয়া দিয়াছি সে-ই আমার ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করিয়া চলিয়া গিয়াছে।

No comments:

Post a Comment