প্রিয় হার্টলেস কার্ডিওলজিস্ট,
তুমি কি জানো আমি এক অষ্টাদশীর প্রেমে পড়েছি? ঠিক বছর খানেক আগে কোনো স্নিগ্ধ বিকেলে। মেয়েটি দেখতে রং তুলিতে প্রলেপমাখা প্রতিমার মতো। ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দুুর মতো তীর্যক নাক, প্রজাপতির পাখার মতো কান, চিচিঙ্গার মতো বাহু আর সমুদ্রের মতো ঢেউ খেলানো চুল। মেয়েটা যখন হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে যায় ওর নাকের ডগায় শিশির বিন্দুর মতো ঘাম চিকচিক করে। আমার খুব ইচ্ছে হয় ঐ নাকের শীর্ষবিন্দুতে জমে থাকা শিশির বিন্দুকে আয়না হিসেবে ব্যবহার করি।
তুমি কি জানো আমি এক অষ্টাদশীর প্রেমে পড়েছি? ঠিক বছর খানেক আগে কোনো স্নিগ্ধ বিকেলে। মেয়েটি দেখতে রং তুলিতে প্রলেপমাখা প্রতিমার মতো। ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দুুর মতো তীর্যক নাক, প্রজাপতির পাখার মতো কান, চিচিঙ্গার মতো বাহু আর সমুদ্রের মতো ঢেউ খেলানো চুল। মেয়েটা যখন হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে যায় ওর নাকের ডগায় শিশির বিন্দুর মতো ঘাম চিকচিক করে। আমার খুব ইচ্ছে হয় ঐ নাকের শীর্ষবিন্দুতে জমে থাকা শিশির বিন্দুকে আয়না হিসেবে ব্যবহার করি।
আমার কী মনে
হয় জানো? আমার মনে হয়, ঈশ্বর কোনো এক অবকাশ যাপনকালে সবকিছু ভুলে
নিঁখুতভাবে তৈরি করেছিলো ওকে। প্রতিদিন বিকেলের মিষ্টি আলোয় একটু একটু করে
দুধে আলতা প্রলেপ শুকাতেন। ইশ, কত খাটুনিটাই না গেল তাঁর।
আমি কবিদের মতো ওকে সকালের কাঁচা রোদ কিংবা সন্ধ্যার জোনাক পোকার আলোর
সাথে তুলনা করছি না। খুবই সাদামাটা অষ্টাদশী ললনাকে ইংরেজিতে ‘ন্যাচারাল
বিউটি’ বলা যায়। ওর কানে নেই কোনো দুল, নাকে নেই নাকফুল, ঠোঁটে নেই
লিপিস্টিকের প্রস্তর, নখের পৃষ্ঠে নেইলপলিশ লাগানোর মতো আদিখ্যেতাও নেই ওর
মাঝে। আর এসবই ওকে সাধারণের মাঝে অসাধারণ করে তুলেছে। ওর কোঁকড়ানো চুলের
প্রতিটা সিঁড়ি বেয়ে দিব্যি স্বর্গে চলে যাওয়া যায়। একটা মানুষের হাসি কতটা
পবিত্রতা ধারণ করতে পারে সেটা ওর হাসি না দেখলে বোধহয় আমার অজানাই থেকে
যেতো।
কেউ একজন বলেছিলো, বিউটি এন্ড ব্রেইন পরস্পর সাংঘর্ষিক। ভাগ্যিস সেই কেউ একজনকে আমি চিনি না, নয়তো সেই অষ্টাদশী ললনার ঠিকানা দিয়ে বলতাম, নিজের ভুল অনুসিদ্ধান্তের জন্য ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসো বাপু।
কি ভাবছো? এতোসব গালগল্প দিচ্ছি। বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস তো করার কথাই না। আমরা বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে নিজে চিনি না। নিজের চোখের দিকে নিজেকে তাকানোর জন্য ঈশ্বর একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আয়না আবিষ্কার করে। বিশ্বাস না হলে আয়নার দেখে নিও সেই ললনাকে। গোপনে, খুব গোপনে কেউ যেন টের না পায়। আয়নাটাও।
ইতি
নিস্তব্ধ জনশূন্য স্টেশনে অপেক্ষমান একজন যাত্রী
#১
কেউ একজন বলেছিলো, বিউটি এন্ড ব্রেইন পরস্পর সাংঘর্ষিক। ভাগ্যিস সেই কেউ একজনকে আমি চিনি না, নয়তো সেই অষ্টাদশী ললনার ঠিকানা দিয়ে বলতাম, নিজের ভুল অনুসিদ্ধান্তের জন্য ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসো বাপু।
কি ভাবছো? এতোসব গালগল্প দিচ্ছি। বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস তো করার কথাই না। আমরা বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে নিজে চিনি না। নিজের চোখের দিকে নিজেকে তাকানোর জন্য ঈশ্বর একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আয়না আবিষ্কার করে। বিশ্বাস না হলে আয়নার দেখে নিও সেই ললনাকে। গোপনে, খুব গোপনে কেউ যেন টের না পায়। আয়নাটাও।
ইতি
নিস্তব্ধ জনশূন্য স্টেশনে অপেক্ষমান একজন যাত্রী
#১
No comments:
Post a Comment