প্রশ্নকর্তা: আপনার নাম?
কমলাকান্ত : কোন নামখানা বলিব? পিতা-মাতা প্রদত্ত নাম নাকি নিজে শখ করিয়া যে নামখানা রাখিয়াছি? নাকি লোকে যে নামে আমায় ডাকিয়া থাকে, তাহা?
কমলাকান্ত : কোন নামখানা বলিব? পিতা-মাতা প্রদত্ত নাম নাকি নিজে শখ করিয়া যে নামখানা রাখিয়াছি? নাকি লোকে যে নামে আমায় ডাকিয়া থাকে, তাহা?
প্রশ্নকর্তা: প্রাতিষ্ঠানিক সনদে যে নাম রহিয়াছে তাহাই বলুন।
কমলাকান্ত: সেই নামখানা তো আপনার হস্তে ধরিয়া রাখা জীবনবৃত্তান্তেই রহিয়াছে! আবার নতুন করিয়া বলিবার কী আছে?
প্রশ্নকর্তা: নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
কমলাকান্ত: নিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই পড়িয়া আসি নাই, স্যার। আর কোনো পুস্তকেই আমার সম্পর্কে কিছু লেখা নাই, তো কী করিয়া বলিব!
প্রশ্নকর্তা: কিসের পরীক্ষা দিতে আসিয়াছেন?
কমলাকান্ত: পরীক্ষা যাহাই হোক, প্রশ্ন তো একই হইবে, তাহা জানি। তাই সেটি জানিবার প্রয়োজন বোধ করি নাই।
প্রশ্নকর্তা: সব পরীক্ষায় আপনি গোল্ডেন এ প্লাস লাভ করিয়াছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখিয়া পরীক্ষা দেন নাই তো?
কমলাকান্ত: আমি অখ্যাত এক আফিমখোর কমলাকান্ত, সব সময় আফিম সুধা পান করিয়া ঘুমাইয়া থাকি। কীভাবে কী ঘটিয়া যায় কিছুই টের পাই না।
প্রশ্নকর্তা: বলুন তো, উগান্ডার প্রেসিডেন্টের ছোট শ্যালিকার বয়ফ্রেন্ডের নাম কি?
কমলাকান্ত: তাহার সহিত তো কিছুদিন পূর্বেই ব্রেকআপ হইয়াছে বলিয়া শুনিয়াছি। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল রহিয়াছেন।
প্রশ্নকর্তা: আপনার কোনো মামা-চাচা আছে?
কমলাকান্ত: নাহ্, আমার পিতা এবং মাতা তাহাদের পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান।
প্রশ্নকর্তা: কোন দল করেন?
কমলাকান্ত: কী যে বলেন স্যার! আমি সর্বক্ষণ নিরিবিলি থাকিতে পছন্দ করি, কোন্দল করিব কী করিয়া?
প্রশ্নকর্তা: চাকরিটা পাইয়া গেলে কি বেলা বোসকে ফোন করিয়া বলিবেন, "চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো?"
কমলাকান্ত: নাহ্, বেলারা কাহারো ফোনের অপেক্ষায় থাকে না। যে বেলা সকালে থাকে যানজটে বসিয়া বাসায় যাইতে যাইতে সেই বেলার রূপ পাল্টাইয়া বিকেল হইয়া যায়।
প্রশ্নকর্তা: আপনার কোনো কোটা আছে?
কমলাকান্ত: নাহ্, তবে আফিমখোরেরা সমাজে এক প্রকার বঞ্চিত জনগণ। তাহাদের কোটা থাকা উচিত বলিয়া মনে করি।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, আপনি আসুন।
কমলাকান্ত: আপনাকে ধন্যবাদ। চাকরি দিবেন না জানিয়াও এতটা সময় নাটক করিবার জন্য।
©রাজীব নন্দী
প্রকাশিত: রসআলো, প্রথম আলো।
৫-৩-২০১৮
কমলাকান্ত: সেই নামখানা তো আপনার হস্তে ধরিয়া রাখা জীবনবৃত্তান্তেই রহিয়াছে! আবার নতুন করিয়া বলিবার কী আছে?
প্রশ্নকর্তা: নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
কমলাকান্ত: নিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই পড়িয়া আসি নাই, স্যার। আর কোনো পুস্তকেই আমার সম্পর্কে কিছু লেখা নাই, তো কী করিয়া বলিব!
প্রশ্নকর্তা: কিসের পরীক্ষা দিতে আসিয়াছেন?
কমলাকান্ত: পরীক্ষা যাহাই হোক, প্রশ্ন তো একই হইবে, তাহা জানি। তাই সেটি জানিবার প্রয়োজন বোধ করি নাই।
প্রশ্নকর্তা: সব পরীক্ষায় আপনি গোল্ডেন এ প্লাস লাভ করিয়াছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখিয়া পরীক্ষা দেন নাই তো?
কমলাকান্ত: আমি অখ্যাত এক আফিমখোর কমলাকান্ত, সব সময় আফিম সুধা পান করিয়া ঘুমাইয়া থাকি। কীভাবে কী ঘটিয়া যায় কিছুই টের পাই না।
প্রশ্নকর্তা: বলুন তো, উগান্ডার প্রেসিডেন্টের ছোট শ্যালিকার বয়ফ্রেন্ডের নাম কি?
কমলাকান্ত: তাহার সহিত তো কিছুদিন পূর্বেই ব্রেকআপ হইয়াছে বলিয়া শুনিয়াছি। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল রহিয়াছেন।
প্রশ্নকর্তা: আপনার কোনো মামা-চাচা আছে?
কমলাকান্ত: নাহ্, আমার পিতা এবং মাতা তাহাদের পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান।
প্রশ্নকর্তা: কোন দল করেন?
কমলাকান্ত: কী যে বলেন স্যার! আমি সর্বক্ষণ নিরিবিলি থাকিতে পছন্দ করি, কোন্দল করিব কী করিয়া?
প্রশ্নকর্তা: চাকরিটা পাইয়া গেলে কি বেলা বোসকে ফোন করিয়া বলিবেন, "চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো?"
কমলাকান্ত: নাহ্, বেলারা কাহারো ফোনের অপেক্ষায় থাকে না। যে বেলা সকালে থাকে যানজটে বসিয়া বাসায় যাইতে যাইতে সেই বেলার রূপ পাল্টাইয়া বিকেল হইয়া যায়।
প্রশ্নকর্তা: আপনার কোনো কোটা আছে?
কমলাকান্ত: নাহ্, তবে আফিমখোরেরা সমাজে এক প্রকার বঞ্চিত জনগণ। তাহাদের কোটা থাকা উচিত বলিয়া মনে করি।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, আপনি আসুন।
কমলাকান্ত: আপনাকে ধন্যবাদ। চাকরি দিবেন না জানিয়াও এতটা সময় নাটক করিবার জন্য।
©রাজীব নন্দী
প্রকাশিত: রসআলো, প্রথম আলো।
৫-৩-২০১৮
No comments:
Post a Comment