ASIFA
❤️
অসাধারণ লেখা, তাই শেয়ার করলাম!
বেশ্যা......

অসাধারণ লেখা, তাই শেয়ার করলাম!
বেশ্যা......
বিছানাতেই হড়হড় করে বমি করে ফেললো গনেশ। চোলাই'টা আজ বেশি টানা হয়ে
গেছে।সাথের ফুলুরি'টাও শালা ঠান্ডা ছিলো, অম্বল হয়ে গেছে নির্ঘাৎ!
---"শালা ঢ্যামনা, দিলি তো শালা বিছানা ভাসিয়ে? সকাল থেকে গিলে বসে আছিস নাকি বে? চুল্লুখোর শালা! সন্ধ্যে সন্ধ্যে দিলো শালা সব একশা করে! ধুপ দিলাম এই সবে, দিলো হারামী'টা বারোটা বাজিয়ে...." ---বকবক করেই চলেছে বিজলী!
গনেশ জানে, এখন কিছু বলতে গেলেই আরও খিস্তি খাবে। তাই কাচুমাচু হয়ে চুপ করে রইলো।
---"আবে এই শালা, শুয়োরের বাচ্চা, বসে আছিস যে? ওঠ! নাম খাট থেকে! তোর বাপ এসে সব পরিস্কার করে দেবে নাকি রে গান্ডু...."
তড়িঘড়ি খাট থেকে নেমে এলো গনেশ। বাথরুমে যেতে হবে একবার, বলতে সাহস হলোনা। চুপচাপ নিজেই চলে গেল! ভালো করে মুখ হাত ধুতে ধুতে ভাবলো, কিছু টাকা এক্সট্রা দিয়ে দেবো বিজলী'কে। আজ টোটো চালিয়ে নেহাত মন্দ রোজগার হয়নি।
---"এই শালা, আর বমি করলে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবো!"
---"না না আর হবেনা!"
বিজলী এইটুকু সময়ের মধ্যেই সুন্দর করে চাদর পাল্টে, সব ধুয়ে, বেশ ক'টা ধুপ জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আধঘন্টা পর....
---"নে নে... এবার ফোট! অন্য খদ্দের আসবে!"
গনেশ পকেট থেকে পাঁচটা একশো টাকার নোট বের করলো।
---"এই নে।"
---"পাঁচটা কেন বে? আজ কি এমন মধু পেলি বাবা, যে একশো বেশি?"
---"ওসব না। তোর ঘর নোংরা করলাম। আর আজ রোজগার ভালোই হয়েছে রে। এক বিয়েবাড়ির ভাড়া ছিল....."
---"আজ কিছুই লাগবেনা। ফিরি।"
---"ফ্রি? সে কিরে!"
---"হ্যাঁ, ফিরি। কানের মাথা খেয়েছিস নাকি?"
---"কিন্তু কেন? এরকম তো কোনোদিন....."
---"আজ, কাল, দু'দিন ফিরি করে দিয়েছি আমরা। এই পুরো মহল্লা। ওই যে, রেপ হয়েছে না কোথায়, তাই।"
অবাক হয়ে গেলো গনেশ!
---"তার জন্য তোরা ফ্রি কেন করলি? প্রতিবাদ? এরপর কি মোমবাতি নিয়েও নামবি নাকি? ভুখ হড়তাল করবি?"
---"না। ওসব শালা পতিবাদ টতিবাদ না। এতো ক্ষিদে নিয়ে ঘুরছিস তো তোরা... আট বছরের বাচ্ছাটাও সুড়সুড়ি দিলো তোদের... এতই কামড় তোদের। তাই আর কি। এই দু'দিন তোদের মতো ব্যাটাছেলেদের জন্য আমরা ফিরি। কত ক্ষিদে তোদের, মিটিয়ে যা মাগনায়।বাচ্ছাগুলোকে ছাড়ান দে, এই দুদিন না হয়....."
কথা নেই গনেশের মুখে! ব্যাটাছেলে হয়ে জন্মে এই প্রথম লজ্জা করছে তার!
বিজলী নির্বিকার....
---"নে নে। অনেক ভড়ং হলো। ফোট এবার। পরের মালকে আসতে দে......"
বেশ্যাপট্টি থেকে বেড়িয়ে গনেশের মনে হলো, এরকম ভাবে সবাই যদি ভাবতে পারতো! ওই বেশ্যাগুলোর জন্য একজনও যদি রেহাই পায়.....!!! কপালে দু'হাত ঠেকিয়ে প্রণাম করলো গনেশ। কার উদ্দেশ্যে? নিজেই জানেনা!!!
(সংগ্রহীত)
---"শালা ঢ্যামনা, দিলি তো শালা বিছানা ভাসিয়ে? সকাল থেকে গিলে বসে আছিস নাকি বে? চুল্লুখোর শালা! সন্ধ্যে সন্ধ্যে দিলো শালা সব একশা করে! ধুপ দিলাম এই সবে, দিলো হারামী'টা বারোটা বাজিয়ে...." ---বকবক করেই চলেছে বিজলী!
গনেশ জানে, এখন কিছু বলতে গেলেই আরও খিস্তি খাবে। তাই কাচুমাচু হয়ে চুপ করে রইলো।
---"আবে এই শালা, শুয়োরের বাচ্চা, বসে আছিস যে? ওঠ! নাম খাট থেকে! তোর বাপ এসে সব পরিস্কার করে দেবে নাকি রে গান্ডু...."
তড়িঘড়ি খাট থেকে নেমে এলো গনেশ। বাথরুমে যেতে হবে একবার, বলতে সাহস হলোনা। চুপচাপ নিজেই চলে গেল! ভালো করে মুখ হাত ধুতে ধুতে ভাবলো, কিছু টাকা এক্সট্রা দিয়ে দেবো বিজলী'কে। আজ টোটো চালিয়ে নেহাত মন্দ রোজগার হয়নি।
---"এই শালা, আর বমি করলে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবো!"
---"না না আর হবেনা!"
বিজলী এইটুকু সময়ের মধ্যেই সুন্দর করে চাদর পাল্টে, সব ধুয়ে, বেশ ক'টা ধুপ জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আধঘন্টা পর....
---"নে নে... এবার ফোট! অন্য খদ্দের আসবে!"
গনেশ পকেট থেকে পাঁচটা একশো টাকার নোট বের করলো।
---"এই নে।"
---"পাঁচটা কেন বে? আজ কি এমন মধু পেলি বাবা, যে একশো বেশি?"
---"ওসব না। তোর ঘর নোংরা করলাম। আর আজ রোজগার ভালোই হয়েছে রে। এক বিয়েবাড়ির ভাড়া ছিল....."
---"আজ কিছুই লাগবেনা। ফিরি।"
---"ফ্রি? সে কিরে!"
---"হ্যাঁ, ফিরি। কানের মাথা খেয়েছিস নাকি?"
---"কিন্তু কেন? এরকম তো কোনোদিন....."
---"আজ, কাল, দু'দিন ফিরি করে দিয়েছি আমরা। এই পুরো মহল্লা। ওই যে, রেপ হয়েছে না কোথায়, তাই।"
অবাক হয়ে গেলো গনেশ!
---"তার জন্য তোরা ফ্রি কেন করলি? প্রতিবাদ? এরপর কি মোমবাতি নিয়েও নামবি নাকি? ভুখ হড়তাল করবি?"
---"না। ওসব শালা পতিবাদ টতিবাদ না। এতো ক্ষিদে নিয়ে ঘুরছিস তো তোরা... আট বছরের বাচ্ছাটাও সুড়সুড়ি দিলো তোদের... এতই কামড় তোদের। তাই আর কি। এই দু'দিন তোদের মতো ব্যাটাছেলেদের জন্য আমরা ফিরি। কত ক্ষিদে তোদের, মিটিয়ে যা মাগনায়।বাচ্ছাগুলোকে ছাড়ান দে, এই দুদিন না হয়....."
কথা নেই গনেশের মুখে! ব্যাটাছেলে হয়ে জন্মে এই প্রথম লজ্জা করছে তার!
বিজলী নির্বিকার....
---"নে নে। অনেক ভড়ং হলো। ফোট এবার। পরের মালকে আসতে দে......"
বেশ্যাপট্টি থেকে বেড়িয়ে গনেশের মনে হলো, এরকম ভাবে সবাই যদি ভাবতে পারতো! ওই বেশ্যাগুলোর জন্য একজনও যদি রেহাই পায়.....!!! কপালে দু'হাত ঠেকিয়ে প্রণাম করলো গনেশ। কার উদ্দেশ্যে? নিজেই জানেনা!!!
(সংগ্রহীত)
No comments:
Post a Comment