Tuesday, May 15, 2018

অভাগা যেখানে যায় সাগর শুকিয়ে যায়

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যেমন কুমিল্লাতে মূত্র বিসর্জনের বিরতি দেয় তেমনি সেবার ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে হাটিকামরুল নামক জায়গায় মুত্র বিসর্জনের বিরতি দিল। কয়েকটা বাসের ভরপুর জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলো টয়লেটের দিকে। আমিও গিয়ে দাঁড়ালাম সিরিয়ালে পাঁচটা দরজার তিন নাম্বারটার সামনে। ভেতরে একজন স্রোত বইয়ে দিচ্ছে। দুপাশের টয়লেটে লোকজন ঢুকে ইজিতে কাজ সেরে ঘ্যাচাং করে বের হয়ে অন্যকে সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু আমি যেটার সামনে দাঁড়ালাম সে লোক আর বের হচ্ছে না। বিজ্ঞাপন বিরতিসহ তিনবার খটাস খটাস করে টোকা দিলাম। নাহ, ভবের কোনো খোঁজ খবর নাই কাকুর। মনে হচ্ছে শান্তির কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছেন। শেষমেষ রাগ করে নিজেকে ঐ টয়লেট থেকে প্রত্যাহার করে নিলাম।

দুইটা এটিএম বুথ পাশাপাশি। দুটোরই আলাদা দরজা হয়ে ঢুকতে হয়। তড়িঘড়ি করে যেটায় একজন লাইনে দাঁড়ানো সেখানে গিয়ে ভদ্রলোকের মতো দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ বাদে আমার সামনের জন ভেতরে প্রবেশ করলেন। বাম পাশের বুথে দুই তিনজন ঢুকে কচকচ করে টাকা নিয়ে বের হয়ে গেল। অার আমি তখনো দাঁড়িয়ে রইলাম। একি রে বাপু, মনে হচ্ছে লোকটা টাকা বের করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাজারের লিস্ট করতেছে কিংবা নোট আলাদা করে জামার কলার, প্যান্টের চিপা পকেটে ঢুকাচ্ছে। নয়তো এতোসময় কি করে ভাইজান আমার!

কথায় আছে অভাগা যেখানে যায় সাগর শুকিয়ে যায়, আর আমি যেখানে যাই সব পেন্ডিং লেগে যায়। কথা হচ্ছে, কিছু কিছু পাবলিকের পাবলিক সেন্স খুবই নিম্মমানের। এরা সব জায়গাকেই নিজের বাসার মতো পার্সোনাল প্রোপার্টিস মনে করে। নিজেদের ভেতরে কোনো তাড়া বা চেতনা অনুভব করে না যে অন্য কেউ অপেক্ষা করতেছে এটা ভেবে। হে খোদা, এরা কী মানুষ নাকি ড্রাগন!

No comments:

Post a Comment